দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অত্যাধিক গরমে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, বদহজমের মতো নানা সমস্যাও দেখা দেয়। এইসব সমস্যা দূর করতে বেল কিন্তু একাই একশো।

যতো দিন যাচ্ছে রোদের তাপের তীব্রতাও বাড়ছে। গ্রীষ্মের দাপট না বাড়লেও আগে থেকেই সুরক্ষতি থাকতে দোষ কী! অত্যাধিক গরমে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, বদহজমের মতো নানা সমস্যাও দেখা দেয়। এইসব সমস্যা এড়িয়ে যেতে হলে বেলের শরবত খেতেই পারেন।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও বেলের কদর অনেক বেশি। এই ফল অর্শরোগ, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, মূত্রনালির সংক্রমণ, লিভারের সমস্যা দূর করতেও ব্যবহার করা হয়। বেলের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরি’য়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেট’রি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদানও রয়েছে। গরমকালে পাকা বেল খেলে শরীরে একাধিক উপকারিতাও পাবেন।
# বেলের শরবত খেলে শরীর থাকে হাইড্রেটেড। শরীরকে অত্যাধিক গরমের মধ্যে ঠাণ্ডা রাখে। মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গগুলোও দূর করে এই বেল।
# গরমকালে বদহজমের সমস্যা দূর করতে হলে বেলের শরবত খেতেই পারেন। বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। সেইসঙ্গে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমে। গরমে হজম স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেল খেতেই পারেন।
# বেলের আরও একটি উপকার হলো বেলের শরবত খেলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন দূর হয়ে যায়। লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এই পানীয়টির জুড়ি নেই। এছাড়াও গরমে ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতেও সক্ষম এই বেল। উজ্জ্বল এবং দাগহীন ত্বক পেতে গরমের সময় এই বেলের শরবত খেতে পারেন।
# গরমের সময় ঘামে কাজ করার এনার্জিও থাকে না। একটু কাজ করলেই শরীরজুড়ে যেনো ক্লান্তি নেমে আসে। এই সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে বেলের শবরত খেলে। গরমকালে বেলের শরবত এনার্জি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও এনার্জি ড্রিংক্সের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এই বেলের শরবত। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org