দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে মসজিদটি আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেটি মেহেরপুরের ঐতিহাসিক করমদির গোসাইডুবি মসজিদ। এটি একটি ঐতিহাসিক ও বহু পুরোনো মসজিদ যা ইতিহােসের এক নিদর্শনও বটে।
এই মসজিদের দেওয়ালে গজিয়ে ওঠা বটগাছের শেকড় বাকড়ে গ্রাস করেছে। দেওয়ালের আস্তরণ ও ইট খসে পড়ছে। তবে পরিত্যক্ত দেওয়ালে তৎকালীন কারুকার্য খচিত নকশাঁ তৈলহীন মাটির প্রদ্বীপের মতোই জ্বলছে। মসজিদটির চিহ্ন এখন বিলুপ্ত প্রায়।
এখন আর কেওই উপাসনার জন্য সেখানে যায় না। জ্বীন ভূতের বসবাস ভেবে একা সাহস করে কেও সেখানে যেতে না পারায় সেটির সংস্কার কাজও হয়নি। যে কারণে মসজিদটি বর্তমানে ধ্বংসের পথে।
মেহেরপুরের গাংনীর করমদি গ্রামের গোসাইডুবি মসজিদের অবশিষ্টাংশ বুকে আগলে রেখেছে বিশাল আকৃতির একটি বটবৃক্ষ। মসজিদটির পুরতন অবয়ব ধরে সংস্কারেরর দাবীও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
যতদূর জানা গেছে, ১৮৬৪ সালে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামে হাজি দশরাত বিশ্বাস এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পায়ে হেঁটে হজ্ব করার পর ধর্মীয় উপাসনার জন্য মসজিদটি নির্মাণের পর মসজিদটির আশে পাশে গড়ে ওঠে বসত-বাড়ি। তার মৃত্যুর পর মসজিদটি দেখভাল করার কেওই ছিল না। তথ্যসূত্র: https://www.meherpurpratidin.com
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org