দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাইজেরিয়ার কানো প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতু হতে নিচে পড়ে গেলে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হন। নিহতদের সবাই অ্যাথলেট কিংবা ক্রীড়াবিদ।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওগুন প্রদেশে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেস্টিভাল (জাতীয় ক্রীড়া উৎসব) থেকে ফিরছিলো ওই বাসটি। শনিবার (৩১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ওই বাসটিতে মোট ৩৫ জন আরোহী ছিলেন- যাদের বেশিরভাগই ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা। কানো প্রদেশের ক্রীড়া কমিশনের চেয়ারম্যান উমার ফাগগি বলেন, ‘এই ক্রীড়াবিদরা কানো প্রদেশের ক্রীড়া কমিশনের বাসেই ফিরছিলেন। পথেমধ্যে একটি সেতুর ওপর থেকে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়।’
দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন, তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় সাবেক নাইজেরিয়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকু আবুবাকার এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই ক্রীড়াবিদরা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি- দক্ষ, প্রতিশ্রুতিশীল ও ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাবনাময় ছিলেন। ওগুনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া উৎসব শেষে ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেস্টিভাল (এনএসএফ) নাইজেরিয়ার একটি অন্যতম বৃহৎ একটি বহুমাত্রিক ক্রীড়া আয়োজন। এতে দেশের বিভিন্ন প্রদেশের ক্রীড়াবিদরাও অংশ নেন। এতে অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org