দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের সময় মোজা ছাড়া জুতো পরেন অনেকেই। স্নিকার্স কিংবা লোফারের মতো জুতো যারা পরেন, তারা অনেক সময় মোজা ছাড়াই জুতো পরেন। এতে আরাম হয় ঠিকই, তাতে পায়ের ক্ষতিও হয়।
গরমের সময় মোজা ছাড়া জুতো পরেন অনেকেই। এতে পায়ের আরাম হয় ঠিক, তবে ত্বকের জন্য তা মোটেও ভালো নয়। বিশেষ করে স্নিকার্স, লোফারের মতো জুতো পরলে তারসঙ্গে মোজা পরাটা জরুরি। না হলে কী হতে পারে তা কী আপনি জানেন?
পায়ে হতে পারে দুর্গন্ধ
পায়ের মধ্যে অনেক ঘামগ্রন্থি থাকে, যে কারণে প্রতিদিন পা ঘেমে যায়। মোজা এই ঘাম শোষণ করে ও পায়ের ত্বক শুষ্ক রাখতেও সাহায্য করে। মোজা ছাড়া জুতা পরলে ঘাম জমার পর জুতোয় যেমন গন্ধ হবে, আবার তেমনি পায়েও দুর্গন্ধ হবে।
সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে
আর্দ্রতা এবং উষ্ণতা ছত্রাকের জন্য আদর্শ একটি পরিবেশ। মোজা ছাড়া জুতা পরলে ‘অ্যাথলেটস ফুট’ কিংবা ‘ফাঙ্গাল ইনফেকশন’-এর মতো সমস্যার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। ভিজে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ছত্রাক জন্মাতে পারে, যা থেকে পায়ের ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে।
পায়ে অ্যালার্জি
নানা কারণে মাঝে-মধ্যেই ত্বকে দেখা দেয় র্যাশ-চুলকানি। তাই এই সময় খুব সাবধানে থাকাটা জরুরি। মোজা ছাড়া জুতো পরলে এই আশঙ্কা থেকে যায়। অনেকের পায়ের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর হয়। রাস্তায় হাঁটাচলার সময় ধুলোবালির সংস্পর্শে এসে পায়ের ত্বক আরও খসখসে হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও সংক্রমণের ভয়ও থাকে। মোজা পরা থাকলে তা কিন্তু হয় না।
ফোস্কার ভয় থাকে না
নতুন জুতা পরে ফোস্কা পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। নতুন জুতো পরে বাইরে বের হলে মোজা পরে নেওয়াটা খুবই জরুরি। তাহলে নতুন জুতো পায়ে দিয়ে দীর্ঘ পথ হাঁটলেও ফোস্কা পরার কোনই ভয় থাকবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org