দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদের কারণে অনেকেরই খাওয়ার একটু অনিয়ম হয়ে থাকে। যে কারণে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।
এমন অবস্থায় করণীয় কি সে বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আলোচনা। ঈদের কারণে অতিরিক্ত খাওয়া পড়ে প্রায় প্রত্যেকের। অন্য সময়ের থেকে এই পরিমাণ অবশ্যই কিছুটা হলেও বেশি। হয়তো অনেকেই নিয়ম মেনেই খাওয়া-দাওয়া করেন। কিন্তু অনেকেই আবার খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাছাড়া সামাজিক কারণেও অনেক সময় সেই নিয়ম ধরে রাখা যায় না। যেমন ঈদের দিন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে গেলে আপনাকে খেতে দিলে অল্প পরিমাণে হলেও খেতে হয়। এভাবে একাধিক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার খাওয়ার কারণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
প্রথমত খাওয়ার আগে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ সব রকমের খাওয়ার গণভাবে খাওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত খাওয়া যখন হয়েই গেছে তখন আর কি করা। এখন অর্থাৎ ঈদের পরদিন এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কি কি সমস্যা হতে পারে
ঈদের পরের দিন থেকে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যেমন পাতলা পায়খানা বা গ্যাস্টিক দেখা দিতে পারে।
কি ব্যবস্থা নিতে হবে
এমন সমস্যার সৃষ্টি হলে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যদি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সমস্যা যদি খুব ছোট-খাটো হয় তাহলে নিজেই ব্যবস্থা নিতে পারেন। যেমন পাতলা পায়খানার জন্য নেট্রোমেটাজল গ্রুপের ওষুধ খেতে পারেন। যেমন ফিলমেট অথবা ফ্লাজিল খেতে পারেন। এতে পাতলা পায়খানা কমে যাবে। তবে যদি গুরুপাক খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে প্রতিবার খাওয়া আধাঘণ্টা আগে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে নেবেন। এন্টাসিড, রেনিটিড, সেকলো ইত্যাদি গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে হবে। তাছাড়া গ্যাসের জন্য একটু নিয়ম করে চলতে হবে। যেমন পেট কখনও খালি রাখা যাবে না। আবার অতিরিক্ত খেলেও সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অতএব এগুলো মেনে চলতে হবে।
তাছাড়া যখন তখন খাওয়ার অভ্যাস ভাল নয়। সকাল, দুপুর ও রাতে আমরা অন্য সময় যেমন নিয়ম করে চলি এ সময়ও এই নিয়ম মানা উচিত। তানাহলে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মোট কথা ঈদের পরে স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। তাহলে কোন সমস্যা আপনাকে কাবু করতে পারবে না।