দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে এমনটাই আশা করছে ইরান। পরমাণু কর্মসূচিতে আলোচনায় অগ্রগতি হওয়াতে এ আশার সঞ্চার হয়েছে।
ইরানের ‘নরমপন্থি’ হিসেবে খ্যাত প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে আবার আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইরানের আশা, এর ফলে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। ইরানে প্রেসিডেন্ট পদে পালাবদল ঠিক বাকি দেশের সঙ্গে তুলনীয় নয়। কারণ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বড়ই সীমিত। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই-র সম্মতি ছাড়া কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। প্রভাবশালী রিপাবলিকান গার্ডস বাহিনী সরাসরি তারই অধীনে রয়েছে। ‘মজলিস’ বা সংসদেরও পৃথক ভূমিকা রয়েছে। অতএব নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি তাঁর পূর্বসূরী মাহমুদ আহমদিনেজাদের তুলনায় অনেক নরম সুরে কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে তিনি কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ এখনো কাটেনি।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, জেনেভায় ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার দিকে তাই সবার বিশেষ নজর ছিল। আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার আলোচনায় চূড়ান্ত বোঝাপড়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইরানের নেতৃত্বের এই আচমকা বোধোদয়ের কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রবল চাপ, যার ফলে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা। অতএব সে দেশ যে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না, তার অকাট্য প্রমাণও দিতে হবে। তবে অবস্থা যায়ই হোক ইরান এখন নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে যে নিরাপত্তা পরিষদ তাদের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।