দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে আনা একটি স্যান্ডউইচে কামড় দিতেই প্লাস্টিকের পুরু আস্তরণ বেরিয়ে পড়লো! দু’টি পাউরুটির মাঝখান থেকে বেরিয়ে পড়লো একটি প্লাস্টিকের গ্লাভস। সেই ছবি তুলে রেস্তরাঁ ও অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার নজর কাড়েন এক তরুণ!

খিদে পেয়েছিল বলে চটজলদি অনলাইনে স্যান্ডউইচ অর্ডার করেন এক তরুণ। তবে স্যান্ডউইচে কামড় দিতে গিয়েই তার মুখে অদ্ভুত এক জিনিস পড়লো। সঙ্গে সঙ্গেই পাউরুটি দু’টি তুলে তিনি লক্ষ করেন যে, সেই ফাঁকেই রয়েছে প্লাস্টিকের একটি পুরু আস্তরণ। খাবার তৈরির সময় সাধারণত রন্ধনশিল্পীরা প্লাস্টিকের যে গ্লাভস ব্যবহার করেন, স্যান্ডউইচের পুরের ভিতর তা পড়ে আছে। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে এমনই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর হলো, ভারতের গুরুগ্রামের বাসিন্দা সতীশ সারাওয়াগি। সম্প্রতি নয়ডার একটি রেস্তরাঁ থেকে দু’টি স্যান্ডউইচ অর্ডার করেন তিনি। তবে একটি স্যান্ডউইচে কামড় দিতেই প্লাস্টিকের পুরু আস্তরণ বেরিয়ে আসে। দু’টি পাউরুটির মাঝখান থেকে বেরিয়ে পড়ে প্লাস্টিকের একটি গ্লাভস। সেই ছবি তুলে রেস্তরাঁ ও অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার নজর কাড়েন সতীশ। সঙ্গে সঙ্গেই ডেলিভারি সংস্থার তরফ হতে ক্ষমাপ্রার্থনা করা হয়।
রেস্তরাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলেও সংস্থার তরফ হতে তরুণকে জানানো হয়। কিছুক্ষণ পরই রেস্তরাঁর তরফ হতে সতীশের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। কীভাবে স্যান্ডউইচের ভিতর এই গ্লাভস ঢুকে পড়লো তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা। যদিও ছবিটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার পর কটাক্ষের তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org