দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা থেকে বলিউড, ওটিটি- গত দুই দশক ধরেই সব মাধ্যমেই নিজের অভিনয় ছাপ ফেলে আসছেন তামান্না ভাটিয়া।

এবার তার নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ডু ইউ ওয়ান পার্টনার’-এ একেবারেই এক ভিন্ন চরিত্রে হাজির হবেন বাহুবলী’খ্যাত এই অভিনেত্রী। এখানে তিনি মদের ব্যবসার জগতে পা বাড়ানো এক বিয়ার স্টার্টআপের উদ্যোক্তার চরিত্রে এবার অভিনয় করছেন।
২০ বছরের ক্যারিয়ারে নানা চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করলেও এই সিরিজের মাধ্যমে সমাজের এক গভীর বাস্তবতার দরজা খুলতে যাচ্ছেন তামান্না। সিরিজটি মূলত এমন এক বাস্তব চিত্রই তুলে ধরে, যেখানে মহিলাদেরও দেখা যায়, তবে তাদের কথা শোনার ইচ্ছে সমাজের অনেকের নেই। তামান্না ভাটিয়া জানিয়েছেন, মেয়েদের দেখতে পছন্দ করেন সবাই, তবে তাদের কথা শোনার ধৈর্যও নেই। তাদের শুধু সৌন্দর্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে যেনো বেশি আরাম। অনেক সময় তাকেও পড়তে হয়েছে এই ধরনের সামাজিক প্রশ্নের মুখে। তামান্নার স্পষ্টই জবাব, ‘প্রথমে আমি নিজেকে মানুষ হিসেবে দেখেছি, কখনও লিঙ্গভেদকে আমার পথে কোনো রকম বাধা হতে দিইনি। শুনেছি অনেক তির্যক মন্তব্যও, তবে তা আমাকে কখনও থামাতে পারেনি।’
যদিও বাস্তব জীবনে এমন চাপ ছিল, ‘ডু ইউ ওয়ান পার্টনার’-এর সেটে কোনওদিন তা অনুভব করেননি এই অভিনেত্রী। তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পরিচালক আর্চিত কুমার, কোলিন ডি’কুনহা ও প্রযোজক সোমেন মিশ্রকে।
তামান্না বলেছেন, ‘তারা আমাদের প্রতিটি দৃশ্যকেই নিজের করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা যখন বলেছি, একজন নারী হিসেবে এই চরিত্র এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, ওই ভাবনাকেই সম্মান জানানো হয়েছে।’
সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তামান্না। এই অভিনেত্রীর মতে, প্রত্যেক নারীর প্রতিক্রিয়া এক নয়, সেখানেই পরিচালকরাও সংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন। একজন নারীকে প্রথমে একজন মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। তবেই তার মতামত ও কাজের মূল্যায়নও সত্যি হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org