দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সুপারস্টার হৃতিক রোশন শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, এবার প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবেও তিনি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয় জীবনের পর, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছেন তিনি। এবার নিজের গল্প নিজের মতো করে ভাবছেন, নিজের ভিশন নিয়েই কাজ করছেন।
‘কৃষ ফোর’-এ পরিচালকের আসনে বসছেন হৃতিক। সেইসঙ্গে, নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘এইচআরএক্স ফিল্মস’-এর মাধ্যমে প্রথমবার প্রযোজক হিসেবে ওয়েব সিরিজও নির্মাণ করছেন, যেটি মুক্তি পাবে আমাজন প্রাইম ভিডিওতে।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সুপার থার্টি’র প্রযোজনায় নাম যুক্ত থাকলেও, মূল প্রযোজক হিসেবে তেমনিভাবে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না হৃতিক। এবার এই ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে অভিষেকও হচ্ছে তার।
সংবাদমাধ্যম পিপিংমুন জানিয়েছে যে, প্রায় তিন বছর ধরে সিরিজটির কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে আসছেন হৃতিক। তিনিই খুঁটিনাটি তত্ত্বাবধানও করছেন। গল্প এবং অভিনেতাদের নাম এখনও গোপন রাখা হয়েছে। তবে জানা যায়, এটি একটি সামাজিক থ্রিলার। শুটিং শুরু হবে এই বছরের শেষের দিকে।
অপরদিকে, ‘কৃষ ফোর’-নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন হৃতিক রোশন। কৃষ সিরিজের সর্বশেষ সিনেমা মুক্তি পায় এক দশক আগে। ‘কোয়ি… মিল গায়া’, ‘কৃষ’ এবং ‘কৃষ থ্রি’ পরিচালনা করেছিলেন হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশন। বহুদিন ধরে তিনি চেয়েছিলেন সুপারহিরোকে আবার পর্দায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তবে গত বছর পরিচালনা থেকে অবসর নেন ও চতুর্থ সিনেমাটির দায়িত্ব তুলে দেন হৃতিকের ওপর।
ক্যামেরার পেছনে হৃতিক এবারই নতুন নন। নায়ক হিসেবে অভিষেকের আগে তিনি বাবার সঙ্গে ৪টি সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। সিনেমাগুলো হলো ‘খুদগারজ’, ‘কিং আঙ্কেল’, ‘করণ অর্জুন’ এবং ‘কয়লা’।
‘কৃষ ফোর’-এ অনেক কিছুই বদলানো হচ্ছে। আগের সিনেমাগুলোয় দ্বৈত চরিত্রে ছিলেন হৃতিক; এবার ৩টি চরিত্রে তাকে দেখা যাবে- বিজ্ঞানী রোহিত, সুপারহিরো কৃষ ও মূল খলনায়ক। গল্পে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের টাইম ট্রাভেলও থাকবে। হৃতিকের সঙ্গে থাকবেন রেখা, প্রীতি জিনতা, বিবেক ওবেরয় এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
এটির চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ পুরোদমেই চলছে। কিছুটা বাজেট জটিলতা থাকলেও সেটি সমাধান হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে ‘কৃষ ফোর’-এর শুটিং শুরু হচ্ছে। জানা গেছে, এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২০২৭ সালে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org