দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড এবং দক্ষিণের সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী শুধু অভিনয়ই নয়, একের পর এক আইটেম গানে ঝড় তুলেছেন। অসাধারণ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তামান্না ৩০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনাও করেছেন। চলচ্চিত্রশিল্পে জটিল চরিত্রের জন্য ৩০ এর ঘরে নারীদের চাহিদা বাড়ছে।
এ সম্পর্কে তামান্না ভাটিয়া বলেন, “বলিউড এখন আরও বেশি করে ৩০ এর ঘরে নারীদের গ্রহণ করছে। বয়স বাড়া কোনো ব্যত্যয় নয়, বরং একটি অসাধারণ ব্যাপার। আগে এই বয়সের পর খুব একটা নারীদের দেখা যেতো না পর্দায়। যখন আমি প্রথম অভিনয়ে আসি তখন আমার ১০ বছরের একটা পরিকল্পনাও ছিল। ভেবেছিলাম ৩০ বছর পর্যন্ত কাজ করবো। এরপর বিয়ে করে সংসার করবো। তবে একটা ভালো দিক হলো- ২০ বছরের শেষে এসে আমি নিজেকে নতুনভাবে চিনতে পেরেছি। তখনই সৌভাগ্যবশত ইন্ডাস্ট্রিও নারীদের জন্য আকর্যণীয় চরিত্র লিখতে শুরু করে। এটি আমলে সারাবিশ্বেরই ইতিবাচক পরিবর্তন। কিছু মানুষ এমনভাবে বলে যেনো বয়স বাড়া কোনো রোগ। অথচ বয়স বাড়া একটি সুন্দর ব্যাপার।’
তামান্নাকে পরবর্তী সময় দেখা যাবে- শাহিদ কাপুরের সঙ্গে ত্রিশাল চার্মওয়াজের অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা “ও রোমিও’-তে। ২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সলের শুরুতে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তা ছাড়াও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে তাকে দেখা যাবে ‘ভ্যান-ফোর্স অব দ্য ফরেস্ট’ সিনেমাতে। এই সিনেমাটি ২০২৬ সালের মে মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org