দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর ১৪, অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় বন্ডি বিচে হানুক্কাহ উদযাপনের সময় একটি টেরর-প্রভাবিত বড় মসৃণ আগত শুটিং এবং বোমা হামলা ঘটে।

হামলার ঘটনাটি হঠাৎ এবং খুব কম প্রস্তুতিতে সম্পন্ন হয়, যার ফলে ফলাফল ছিল অমিমাংসিত ও বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যার দিকে যখন প্রায় হাজার মানুষ উৎসব পালন করছিল—সেখানেই দুই সংঘটিত বন্দুকধারী একে অপরের সহায়ক হয়ে অাস্থায়ীভাবে লোকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, ফলে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়। এই হামলা *অস্ট্রেলিয়ার আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী অপরাধে পরিণত হয়।
সমন্বিত তদন্তে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, এই শক্তিশালী হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি সম্প্রদায়ের উপর নির্দিষ্টভাবে আক্রমণ চালানো, যা আল-ইসলামিক স্টেট বা সংশ্লিষ্ট radikal network-এর প্রভাবিত ঘৃণা ভিত্তিক মতাদর্শের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল আধুনিক শুটগান ও রাইফেল, পাশাপাশি ঘটনাস্থলে কয়েকটি homemade বোমা পাওয়া গেলেও তারা বিস্ফোরিত হতে ব্যর্থ হয়েছিল। সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন প্রাণ হারায়, আর অপরজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এই হামলার পর অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে এটি একটি ঘৃণা-ভিত্তিক টেররিস্ট আক্রমণ, এবং দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হচ্ছে। যৌথ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসে, যেখানে অন্যান্য দেশগুলো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ সমর্থন জানায় এবং টেরর-বিরোধী প্রচেষ্টা আরও প্রশস্ত করে তুলতে সম্মত হয়।
এ ঘটনা অস্ট্রেলিয়ায় টেরর-আক্রান্ত মৃত্যুজনিত ঘটনা হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি এবং দমন-নিরোধক কঠোর gun-law থাকা সত্ত্বেও সংঘটিত হামলা বিশ্বকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় যে কোথাও নিরাপত্তা স্থায়ী নয়, এবং radikal-ideology-ভিত্তিক হামলা প্রতিনিয়ত সতর্কতার দাবি রাখে। সূত্র: Wikipedia
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org