দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় এবার আরেক ধাপ এগিয়ে তুরস্কের ইস্তানবুলে ১৯০ ফুট পানির নিচে সবচেয়ে গভীরে তৈরি হল রেল লাইন। এটি পূর্ব ও পশ্চিম ইস্তানবুল শহরকে সংযুক্ত করবে।
তুরস্কের ইস্তানবুলের সাগরের নিচে দিয়ে তৈরি হওয়া এই টানেলের নাম মারমারে টানেল এটি হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম কোন টানেল যা দুটি মহাদেশের মাঝে রেল যোগাযোগের সংযোগ সম্পাদন করতে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ টানেল লম্বায় ৮.৫ মাইল এবং এটি উন্মোচিত করে দেয়া হয়েছে তুরস্কের ৯০ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে।
এই টানেলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০০৫ সালে এবং সমাপ্ত হওয়ার কথা ২০০৯ সালেই কিন্তু নানান জটিলতায় এর কাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়। এই টানেল শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং আয়তন ও গভীরতার এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরে অবস্থিত টানেল।
এদিকে ইস্তানবুল শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা আশা করছেন এই টানেলের রেলে চড়ে আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন মানুশ প্রতিদিন রেল ভ্রমণ করার সুযোগ পাবে। বর্তমানে ইস্তানবুল শহরের সকল ট্রাফিক টানেলের উপরে থাকা ব্রিজে করে নদীর অপর দিকের শহরে যাতায়াত করছে ফলে এটি যথেষ্ট চাপ ফেলছে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায়। নতুন হওয়া মারমারে টানেল ইস্তানবুল ট্রাফিক ব্যবস্থারও যথেষ্ট উন্নতি করতে পারবে বলেও আশা করছেন কর্মকর্তারা। এদিকে মারমারে টানেলের বিষয়ে তুরস্ক সরকারের বিশেষ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে যা দক্ষিণ ইউরোপ এবং চীনের মাঝে সংযোগ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
অনেক গবেষকরা আশংকা করছিলেন মারমারে টানেল ভূমিকম্পে বিশেষ ক্ষতি সাধিত হতে পারে কারন এটি একটি ভূমিকম্প প্রবন এলাকায় অবস্থিত তবে টানেল টানেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে তেমন কন ঝুঁকির আশংকা নেই কারন পর্যাপ্ত ভূমিকম্প সহনশীল করেই এই টানেল তৈরি করা হয়েছে। এটি রিক্টার স্কেলে ৯.০ মাত্রারও বেশী মানের ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
সব কিছু ঠিক থাকলে মারমারে টানেল এখন পর্যন্ত তৈরিকৃত ভূগর্ভস্থ টানেল সমূহের মাঝে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়ে থাকবে বলেই আশা করা যায়।
সূত্রঃ techi.com