দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোন মূল্যে ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে এ খবরে রাজধানীবাসীদের মধ্যে আবার উৎকণ্ঠা-উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
এদিকে সরকার এখনও অনুমতি না দেওয়ায় হেফাজতে ইসলাম সংঘাত এড়াতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। অনুমতি না পাওয়ায় গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের সমাবেশ স্থগিত করে হেফাজতে ইসলাম।
অপরদিকে তরিকত ফেডারেশন নামের একটি রাজনৈতিক জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১৫ নভেম্বর শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। হেফজতে ইসলামের অভিযোগ, তাদের মহাসমাবেশ পণ্ড করতেই সরকার তরিকতকে দিয়ে পাল্টা সমাবেশ ডাকিয়েছে। এদিকে এ অভিযোগের পর তরিকত মহাসচিব এম আউয়াল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের পাল্টা কর্মসূচি নয়, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও সর্বদলীয় সরকারের দাবিতে আমাদের সমাবেশ।
প্রস্তাবিত ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩’ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার হাটাহাজারির সমাবেশ থেকে আল্লামা আহমদ শফী আগামী ৭ নভেম্বর সিলেট, ৮ নভেম্বর খুলনায়, ১২ ও ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম এবং ১৫ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রামের মহাসমাবেশে বাধা দেওয়া হলে লাখ লাখ লাশ পড়বে।’
এদিকে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশ ডাকা এবং সরকারের অনঢ় অবস্থানের জন্য সকলেই শঙ্কিত। কারণ ইতিপূর্বে শাপলা চত্বরে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে নগরবাসী শঙ্কিত না হয়ে পারে না। সরকার বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করবেন এমনটাই আশা করছেন রাজধানীবাসী।