দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও আরাফাত প্রসঙ্গ। ফিলিস্তিনের প্রয়াত নেতা ইয়াসির আরাফাতকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন পর ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে সমগ্র বিশ্বে আবার তোড়-জোড় শুরু হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বলেছে, ফিলিস্তিনের প্রয়াত নেতা ইয়াসির আরাফাতকে পোলোনিয়াম বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। নতুন ফরেনসিক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। ৯ বছর আগে সাবেক এ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
সুইজারল্যান্ডের বিশেষজ্ঞরা একটি পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক রিপোর্টে দাবি করছেন, পোলোনিয়াম-২১০ প্রয়োগের কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ১০৮ পৃষ্ঠার ওই ফরেনসিক রিপোর্টটি আল-জাজিরা সংগ্রহ করেছে। প্রয়াত নেতার দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলনের পর তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে উচ্চমাত্রায় পলোনিয়াম-১২০ ও লিড-২১০ এর কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সুইজারল্যান্ডের লসানের ভডয়িস ইউনিভার্সিটি হসপিটাল সেন্টারে (সিএইচইউভি) এ পরীক্ষা করা হয়। আগামী ১১ই নভেম্বর প্রয়াত এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকীর ৪ দিন আগেই ফরেনসিক এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হলো। রিপোর্টটি প্রকাশের পর আরাফাতের বিধবা স্ত্রী সুহা আরাফাত হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন।
মৃত্যুর আগে ২০০৪ সালে ফ্রান্সের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই নেতা। এতে চিকিৎসকরাও বিস্মিত হন। কিন্তু, সে সময় বিধবা স্ত্রীর অনুরোধে সাবেক এ ফিলিস্তিনি নেতার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। আরাফাতের মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। প্রথম থেকেই ফিলিস্তিনের সন্দেহের তীর ছিল ইসরাইলের দিকে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ফ্রান্সের সামরিক হাসপাতালে ইয়াসির আরাফাত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নতুন ফরেনসিক রিপোর্টটি দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।