দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইপিএল ২০১৩ এর রাজস্থান রয়্যালস দলের খেলোয়াড় শ্রীশান্ত এবং তার দলের আরো দুই জন সতীর্থ, অঙ্কিত চ্যাবন আর অজিত চান্দিলাকে গত বৃহস্পতিবার ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগে দিল্লী পুলিশ গ্রেফতার করে। শ্রীশান্ত গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
শ্রীশান্ত, অঙ্কিত চ্যাবন আর অজিত চান্দিলাকে গ্রেফতারের পর দিল্লী কোর্টে ভারতীয় পিনাল কোডের ৪০৯ ধারায় চুক্তি বা বিশ্বাসভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়, যা কিনা জামিন অযোগ্য অপরাধ। গ্রেফতারের পর দিল্লী কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ শ্রীশান্তকে রিমান্ডে নেয়। গতকাল তাকে আরো পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মিডিয়াকে শ্রীশান্তের উকিল রেবেকা জনের পাঠানো এক ইমেইলে দেওয়া বক্তব্যে শ্রীশান্ত বলেন, “আমি নির্দোষ এবং কোন ধরনের অপরাধ আমি করিনি। কখনো কোন ধরনের স্পট ফিক্সিং এর সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। আমাদের বিচার ব্যবস্থায় আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে আর আমি আত্মবিশ্বাসী যে, একসময় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব এবং আমার সম্মান ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।”
তার শুনানিতে, পুলিশ কোর্টকে জানায় যে তারা খেলোয়াড় ও বাজিকরদের মধ্যকার ধারণকৃত কথোপকথন বিশ্লেষণ করছিল। অভিযুক্তর ভয়েস স্যাম্পলও নেয়া হয়েছে সেগুলোর সাথে মেলানোর জন্য। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রাজিব মোহন ম্যাজিস্ট্রেটকে আরো জানান যে, এই তদন্তে আরো নতুন নাম বেরিয়ে এসেছে এবং তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বুধবার অর্থাৎ আজ কোর্টে পেশ করা হবে। শ্রীশান্তের উকিল অবশ্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের বিরোধীতা করে বলেন যে, রিমান্ডে আরো রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে প্রত্যেক অভিযুক্তকেই একের পর এক করে জেরা করেছে এবং যা জানা সম্ভব সবই জেনে নিয়েছে।
এদিকে পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, সরকারী প্রতিষ্ঠান ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লিমিটেড শ্রীশান্তকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করেছে।শ্রীশান্ত ওই প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং শাখার এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন।
সূত্রঃ হিন্দুস্তানটাইমস