দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন কৃত্রিম মস্তিষ্ক। এই গবেষণা ভবিষ্যতে সিজোফ্রেনিয়া বা অর্টিজমের মতো রোগের চিকিৎসা করতে অনেক সাহায্য করবে।
জানা গেছে, স্টেম সেল থেকে গবেষণাগারে কোনো পরিণত অঙ্গ তৈরির চেষ্টা বহু দিন ধরেই চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সাফল্য মিলেছে। কিন্তু গবেষণাগারে স্নায়ুকোষ বা মস্তিষ্ক তৈরির কথা এত দিন কেবল কল্পবিজ্ঞানের বইতেই ছিল। এবার সত্যি সত্যিই একটা গোটা মস্তিষ্ক গবেষণাগারে তৈরির দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তা-ও মাত্র দুই মাসে। গবেষণা বিজ্ঞান পত্রিকা নেচারে সম্প্রতি এ গবেষণা প্রকাশ করেছে। খবর আনন্দবাজার
অস্ট্রিয়ার মলিকিউলার বায়োটেকনোলজি ও ব্রিটেনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান জেনেটিক্স বিভাগের একদল গবেষক অনেক দিন ধরেই স্টেম সেল থেকে মানব মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ তৈরির চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য তাঁরা কয়েকটি স্টেম সেল (নির্দিষ্ট পরিবেশে যে কোষ থেকে পরিণত জীবদেহ তৈরি হতে পারে) একটি পাত্রে রাখেন। যাতে দ্রুত বাড়তে পারে তার জন্য বাইরে থেকে ওই কোষগুলো বিশেষ তরলে ডুবিয়ে রাখা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ওই রেখে দেওয়া কোষগুলো বৃদ্ধি পেয়ে নিউরোএক্টোডার্ম তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই নিউরোএক্টোডার্ম থেকেই ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরি হয়। তার পর দুই মাসের মধ্যেই নিউরোএক্টোডার্ম চার মিলিমিটারের একটি মস্তিষ্কে পরিণত হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, আকারে স্বাভাবিকের থেকে ছোট হলেও মস্তিষ্কের প্রায় সব অংশই রয়েছে এই কৃত্রিম মস্তিষ্কে।
গবেষকদলের অন্যতম জার্গেন নবলিশ বললেন, ‘গোটা মাথাটা তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা জানতে চাইছিলাম কী করে মস্তিষ্ক তৈরি হয়। এ গবেষণা ভবিষ্যতে সিজোফ্রেনিয়া বা অর্টিজমের মতো রোগের চিকিৎসা করতে অনেক সাহায্য করবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: অনলাইন