দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশ সংস্থা নাসার সাম্প্রতিক চন্দ্র মিশন যাত্রা শুরু করেছে। চাঁদের অদ্ভুদ বায়ু মন্ডল এবং ধূলিকণা নিয়ে গবেষণা করার জন্য এই অভিযান পরিচালিত হবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে থাকার পরও চাঁদের রহস্যের শেষ নেই। মানুষের কৌতুহলও দিন দিন বাড়ছে। মহাকাশ সংস্থা নাসা সব সময় এই রহস্যগুলো উন্মোচন করার চেষ্টা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল একটি মহাকাশগামী যান উৎক্ষেপণ করে সংস্থাটি। নতুন মহাকাশ যান টির নাম রাখা হয়েছে Lunar Atmosphere and Dust Environment Explorer সংক্ষেপে LADEE। অভিযানটি পরিচালনায় ২৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। চন্দ্র কক্ষপথে LADEE’র পৌছাতে সময় লাগবে ৩০ দিন।
মহাকাশচারীরা চাঁদের বায়ু মন্ডলে অদ্ভুদ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছেন। চাঁদের সূর্যোদয়ের সময় দিগন্ত রেখায় প্রখর আলোক দ্যুতি দেখা যায়। চাঁদে বায়ুমন্ডল না থাকায় ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, চাঁদের ধূলিকনা যে কোনভাবে বৈদ্যুতিকভাবে চার্জড থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্যই নাসা LADEE প্রেরণ করল।
অভিযানটির মাধ্যমের নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা laser optical communications system পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে। পরবর্তীতে লেজার অপটিক্যাল কম্যুনিকেশন ব্যবস্থাটি অন্যান্য অভিযানেও ব্যবহার করা যাবে। LADEE নির্মাণ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রযুক্তি সম্বলিত করে। এতে যুক্ত করা হয়েছে ডাস্ট ডিটেক্টর, নিউট্রাল মাস স্পেকট্রোমিটার এবং একটি আল্ট্রা ভায়োলেট ভিজিবল স্পেকট্রোমিটার। LADEE চাঁদের ধূলি কণা শনাক্ত করতে পারবে এবং এগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল