দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বর্তমান সময়ে আমাদের জীবন, জগত, সম্পর্ক সবকিছুর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে বিভিন্ন যোগাযোগের পদ্ধতিঃ টেক্সটিং, মেইল, ফোন কল ইত্যাদি। দেখা যাচ্ছে রিলেশনের ক্ষেত্রেও টেক্সটিং অর্থ্যাৎ মেসেজ আদান প্রদান ভালো এবং মন্দ উভয় প্রভাবই রাখছে।
সম্প্রতি কাপল এবং রিলেশনশিপ থেরাপির জানার্লের রিপোর্ট জানা গেছে, টেক্সটিং অর্থ্যাৎ মেসেজ আদান প্রদানের মাধ্যমে যেকোন সম্পর্ক গাঢ় করা সম্ভব কারণ এতে জীবন সঙ্গী বা ভালোবাসার সহযোগীকে পাশে পাওয়া হয় সহজেই।
একথা শুনে যতটা টেক্সিং বিষয়টি সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে আসলে ব্যাপারটা ততটাও নয়। আদতে মেসেজ আদান প্রদানে মুখোমুখি দেখা হওয়ার বিষয় অনুপস্থিত। শুধু মেসেজ আদান প্রদান যোগাযোগে ভুল বুঝাবুঝি বৃদ্ধি করে এবং প্রকৃত রিলেশন ধ্বংসও করতে পারে। সুতরাং – উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে তেমন কোন আহামরি ভূমিকাও নেই টেক্সিং এর। এমন সতর্কবাণীও জানা গিয়েছে রিপোর্ট হতে।
আরো কিছু মজার ব্যাপারও আছে সম্পর্কের ক্ষেত্রে টেক্সটিং এর ব্যবহার। কোন পুরুষ যদি তার সঙ্গীকে বেশি মেসেজ পাঠান সেটি ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্যাপার হিসাবে দেখা হয়, কিন্তু উল্টোটা অর্থ্যাৎ নারী যদি তার সঙ্গীকে বেশি মেসেজ পাঠান তাহলে সেটি উষ্ণ সম্পর্কের জন্য পজিটিভ দিকই বলা হয়।
শিকাগো অধ্যুষিত ‘ম্যাচমেকিং সার্ভিস সিলেক্টিভ সার্চ’ এর নির্বাহী বার্বি অ্যাডলারের মতে যারা রিলেশনের ক্ষেত্রে যোগাযোগের জন্য শুধু মেসেজ প্রদানের উপর নির্ভরশীল তারা আদতে রিলেশনের ব্যাপারে পুরোপুরি সিরিয়াস নন।
লিঙ্গ ভেদ না করেই এইটা পরিষ্কার বলা যায়, মেসেজ আদান প্রদান কে কিভাবে ব্যবহার করছে এইটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। দিনের যেকোন সময় কি ভাবছেন সেরকম সাধারণ একটা মেসেজ সঙ্গীকে পাঠানো বেশ মিষ্টি এবং রোমান্টিক ব্যাপার হতে পারে। তবে বেশি সিরিয়াস সম্পর্কে শুধু মেসেজ আদান প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা একটা বাজে ধারণাই বলা যায়।
প্রত্যেকের আসলেই এই ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত সরাসরি দেখা না হোক অনন্ত ফোনেও যোগাযোগ রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি ব্যাপার কাপলদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে মেইল হোক বা মেসেজ পাঠানো হোক যাকে পাঠানো হচ্ছে সে আদতে কম্পিউটার বা মোবাইলের পাশে আছে কিনা সেটা ভাবা উচিত। কারণ, মেইল বা মেসেজ পেয়ে দ্রুত রেসপন্স সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে একটা বড় বিষয় কারণ সঙ্গীরা দ্রুত রেসপন্স অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আশা করে।
সুতরাং আদতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে রিলেশনে যোগাযোগের যে মাধ্যমগুলো ব্যবহার হচ্ছে যেমন মেসেজ আদান প্রদান তা আদতে উপকারী এবং অপকারী উভয় ভুমিকাই পালন করছে। সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত উপকারী দিকগুলো ব্যবহার করে অপকারী অংশগুলো এড়িয়ে চলা – যাতে করে যে সম্পর্কই দৃঢ় এবং সুন্দর থাকে।
তথ্যসূত্রঃ অলথিংক্সডি