দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন দিন দেশের বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবন অনেকটাই উদ্ভাবনী শক্তিতে বলিয়ানো। কিছুদিন আগেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ড্রোন তৈরি করেছে, এবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সমুদ্রের পানিকে পান যোগ্য করার উপায় ও আবিষ্কার করলো।
পৃথিবীর তিন ভাগ পানি এক ভাগ স্থল। বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন সমুদ্র। এসব সমুদ্রে রয়েছে প্রচুর পানি তবে এসব পানি পানের অযোগ্য কারণ সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। অপর দিকে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ দিন দিন কমছে। আর পান যোগ্য পানীয় জলের আধারও কমছে। ফলে ইতোমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশ খাবার পানির সংকটে পড়েছে।
বিশ্বে খাবার পানি সংকট কোমাতে নানান গবেষণা চলছে, তবে বাংলাদেশে সেভাবে গবেষণা না হলেও এবার তরুণ বিজ্ঞানিরা উদ্যোগ নিলেন সাগরের পানিকে কিভাবে পান যোগ্য করে তোলা যাবে সেই বিষয়ে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুইজন ছাত্র রেজাউল করিম শাওন ও সেফায়েত হোসেন সৌরভ মিলে তৈরি করেছেন সমুদ্রের পানি খাবার পানিতে রূপ দেয়ার বিশেষ যন্ত্র।
এটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং ব্যবহার উপযোগী একটি যন্ত্র। যেকেউ এই যন্ত্র তৈরি করতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন। এটি তৈরিতে কেবল দুটি পাত্র, কাচ, জিয়াই সীট, প্ল্যাস্টিকের পাইপ এবং কর্কসীট দরকার হবে।
একটি পাত্রে সমুদ্র থেকে পানি সংগ্রহ করে আনা হবে এবং অন্য আরেকটি পাত্রে যন্ত্র থেকে পাওয়া পান যোগ্য পানি সংগ্রহ করা হবে। জিআই সীট দিয়ে একটি বিশেষ জলাধার তৈরি করা হবে যেখানে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ঢালা হবে। জিআই সীটের তৈরি জলাধার কাঁচের প্লেট দিয়ে বিশেষ কোণে ঢাকা থাকবে। এবার সূর্যের তাপে পানি জলীয় বাষ্প হয়ে কাঁচের উপরি ভাগে জমা হয়ে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে নিচে রাখা অন্য পাত্রে জমা হতে থাকবে পান যোগ্য পানি যা অত্যন্ত বিশুদ্ধ।
উদ্ভাবকরা বলেন মাত্র ৪ হাজার টাকায় এই প্রোজেক্ট তৈরি করা সম্ভব এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব। তাঁরা জানান পানি বিষয়ক আরও গবেষণা চলছে। সমুদ্রের পানি পান যোগ্য করে তোলার এই প্রোজেক্টটি প্রফেসর ডঃ মোঃ তৌহিদুর রহমানের আধীনে করা হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত