দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাব্যিক সিনেমা ‘অ্যাভাটার’ ইতিমধ্যেই মোট দু’টি সিকুয়েল মুক্তি পেয়েছে। চলছে তৃতীয় সিকুয়েলের প্রোডাকশন পরবর্তী কাজও। তবে অ্যাভাটার-৩ নতুন নামে মুক্তি পাচ্ছে!
বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিনেমাটির পরিচালক জেমস ক্যামেরনসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে পরিচালক বা ডিজনি কেওই সিনেমাটির নাম উন্মোচন করতেও প্রস্তুত নন। তবে আপাতত যা মনে হচ্ছে, এতোদিন ধরে তৃতীয় সিকুয়েলটির যে নাম ‘অ্যাভাটার: দ্য সিড বেয়ারার’ শোনা যাচ্ছিল, সেটি চূড়ান্ত নাও হতে পারে। নতুন নামে মুক্তি পেতে পারে এই সিনেমাটি। ২০২৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
২০১৮ সালে বিবিসির খবরে জানানো হয় যে, অ্যাভাটারের পরবর্তী ৪টি সিকুয়েলের নাম হবে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’, ‘অ্যাভাটার: দ্য সিড বেয়ারার’, ‘অ্যাভাটার: দ্য টুল্কুন রাইডার’, এবং ‘অ্যাভাটার: দ্য কুয়েস্ট ফর আইওয়া’। তখন থেকেই এইসব নাম সোশ্যাল মিডিয়ার খোরাক হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে ক্যামেরন এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইটকে বলেছিলেন যে, ‘আমি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতেও পারছি না, আবার সেটি প্রত্যাখানও করতে পারছি না। ঠিক আছে, আমি এই নামগুলো সেই সময় বলেছিলাম, তবে এই নামগুলো কেবল বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সম্প্রতি তৃতীয় সিকুয়েলটির মুক্তির তারিখও নিশ্চিত করেন ক্যামেরন। তার কথা অনুযায়ী বোঝা যায়, ২০২৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। পরবর্তী পর্ব দু’টি যথাক্রমে ২০২৯ সালের ২১ ডিসেম্বর এবং ২০৩১ সালের ১৯ ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে পারে। সিনেমাটির নাম নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এই সিদ্ধান্তের পর ভক্তরা এখন হয়তো নতুন নামটি জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org