দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তরুণ গবেষকরা তৈরি করেছেন সাশ্রয়ী “ইন্টিলিজেন্ট লেজার কন্ট্রোলার”। এ ধরণের ডিভাইস প্রতিবছর দেশের বাইরে থেকে অনেক দাম দিয়ে আনতে হত।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল নিজের থিসিসের অংশ হিসেবে এই যন্ত্র তৈরি করেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের “চেতনা একাত্তর” ভাস্কর্যের সামনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং উদ্ভাবক রেজওয়ানুল সাংবাদিকদের সামনে নিজের উদ্ভাবিত এই “ইন্টিলিজেন্ট লেজার কন্ট্রোলার” এর বিষয়ে খুটিনাটি বলেন।
উদ্ভাবক রেজওয়ানুল হক বলেন, “আমি আমার থিসিসের অংশ হিসেবে এই ডিভাইস তৈরি করেছি আমাকে সাহায্য করেছেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রবি কর্মকার এবং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মারুফ হসেন রাহাত। সম্পূর্ণ প্রোজেক্টটি পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ডঃ ইয়াসমিন হক এবং ডঃ মোহাম্মদ জাফর ইকবালের তত্ত্বাবধায়নে সম্পূর্ণ হয়েছে।”
রেজওয়ানুল হক আরও বলেন, “এই ডিভাইস লেজার পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হবে, এতদিন এধরণের যন্ত্র বাইরে থেকে অধিক দামে কিনে আনতে হত এখন থেকে এটি দেশেই ২০০০-৩০০০ টাকার মাঝেই পাওয়া যাবে। এছাড়া এই ডিভাইস লেজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট রূপ ব্যবহার করবে। এই ডিভাইসে যদি কেউ ভুল নির্দেশ প্রদান করে তবে এটি সেই নির্দেশ গ্রহণ করবেনা। এতে পাসওয়ার্ড কন্ট্রোল সুবিধা, লেজার ডিটেকশন, সাটার কন্ট্রোল সহ আরও অনেক সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে এবং এটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।”
সম্পূর্ণ প্রকল্পটি শেষ করতে আড়াই মাস সময় লেগেছে, এই যন্ত্র লেজার চালাতে এবং লেজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা হবে।
গবেষণা প্রকল্পের সাথে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রধান প্রোফেসর ডঃ মোহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “ এটি অসাধারণ একটি আবিষ্কার, এর মাধ্যমে দেশের লেজার নিয়ন্ত্রণে বাইরে থেকে আর ডলার খরচ করে যন্ত্র আনতে হবেনা। এটি রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমাদের দেশের ছেলেরা ল্যাবে কাজ করছে এবং উদ্ভাবন করছে এটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।”
ইন্টিলিজেন্ট লেজার কন্ট্রোলারের উদ্ভাবক রেজওয়ানুল হক নাবিল বলেন, “দেশের অনেক ল্যাবে লেজার ব্যবহার হচ্ছে সেখানে এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পিএইচডি শিক্ষার্থীরাও ল্যাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।”
উল্লেখ্য রেজওয়ানুল হক নাবিলের এটিই প্রথম উদ্ভাবন নয়, এর আগে তিনি দেশীয় প্রযুক্তির ট্র্যাকিং ডিভাইস আবিষ্কার করেছিলেন।