দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ লাখ লাখ বছর আগের পাথরে পরিণত জীবদেহ হচ্ছে ফসিল। জীবাশ্মবিদরা অবিরাম পরিশ্রম করে চলেছেন জীবনের বিবর্তন প্রক্রিয়ার একটি বোধগম্য ও স্পর্শযোগ্য একটি প্রমান হিসাবে ফসিল রেকর্ড ব্যবহার করতে। সম্প্রতি হিমালয়ের তিব্বতে স্নো লেপার্ড প্রজাতির একটি বড় আকারের বিড়ালের ফসিল উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি The Royal Society journal Proceedings B তে আমেরিকান এবং চীনের জীবাশ্মবিদরা তাদের ই উদ্ধারের কথা প্রকাশ করেন।
যে ফসিল উদ্ধার করা হয়েছে তার প্রজাতি বড় বিড়াল গোত্রের প্রাণী সিংহ, বাঘ বা জাগুয়ারদের পূর্বপুরুষ নয় বরং ইহা স্নো লেপার্ড জাতীয় প্রাণীসদৃশ – জানিয়েছেন নিউইয়র্কের আমেরিকান জাদুঘরের গবেষক লিডার জ্যাক স্যাং।
২০১০ সালে জ্যাক স্যাং এবং তার সহকর্মীরা হিমালয় এলাকায় জীবাশ্ম খুঁজতে যান এবং পরবর্তীতে তারা ছড়িয়ে পড়েন। স্যাং এর স্ত্রী জুয়ান লিও একটা জায়গায় ছড়িয়ে পড়া পুরাতন হাড় খুঁজে পান এবং সেই এলাকা খুড়েই আবিষ্কার করা হয় জাম্বুরা আকৃতির বড় বিড়ালের খুলির ফসিল। গবেষকরা আশেপাশের মাটি – পাথর পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে ফসিলের বয়স অনুমান করেন।
যে খুলির অংশের ফসিল উদ্ধার করা হয়েছে তার নতুন নাম ‘Panthera blytheae’ এবং এটি ৪.১ থেকে ৫.৯৫ মিলিয়ন বছর পুরোনো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই আবিষ্কার একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা যা ফসিল রেকর্ডের একটি বড় ফাঁকা পূর্ণ করেছে। বড় বিড়াল প্রজাতির এইসব প্রাণী এশিয়ান অঞ্চলে বিবর্তিত হয়েছে – এই বিবৃতির পক্ষে বড় প্রমাণ এই ফসিল আবিষ্কার এবং পরবর্তীতে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে এরা। এই ফসিল পর্যবেক্ষণ করে প্রথম দিককার বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণীরা দেখতে কি রকম ছিলো তা জানা সম্ভব হবে – বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ বিস্ট্রলের একজন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মানাবু সাকামুটু।
উল্লেখ্য, নতুন প্রজাতির ফসিল সন্ধানে জ্যাক স্যাং এবং তার টিম সদস্যরা পরবর্তী গ্রীষ্মে তিব্বতের ঐ ফসিল অধ্যুষিত এলাকায় ফিরে যাবেন।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি