দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রার্থনা আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি বিষয়ের সাথেই জড়ানো। বাস্তবিক অর্থেই আমরা যেকোন বিপদের সময়েই প্রার্থনার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। সুখবর হচ্ছে একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রার্থনা মানুষের আবেগ এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জীবনের চাহিদা মোকাবেলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রার্থনা করে মানুষ এবং ফলশ্রুতিতে মানুষ শক্তি অর্জন এবং লোভ থেকে দূরে অবস্থান করতে সক্ষম হয়।
Saarland University এবং University of Mannheim এর জার্মান মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে প্রার্থনা মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
গবেষকরা ৭৯ জন বিভিন্ন ধর্মালম্বী এবং নাস্তিকদের নিয়ে একটি গবেষণা করেন। তাদের বলা হয় – পাঁচ মিনিট সময় একা থাকতে এবং নিভৃতে কোন প্রার্থনা কিংবা গভীরভাবে কোন কিছু ভাবতে। এরপর তাদের একদলকে স্বাভাবিক থাকতে বলা হয় এবং আরেকদলকে আবেগ দমন এবং মুখের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়। সেখানে স্ট্রুপ টেস্ট নামক যে পরীক্ষার সম্মুখীন হয় তারা সেটার ফলাফলে দেখা যায় যারা প্রথমে প্রার্থনা করেছিলো তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে কিন্তু যারা প্রার্থনা না করে সাধারণ চিন্তাভাবনায় মশগুল ছিলো তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এবং টেস্টে ভুল করেছে।
পরীক্ষামূলক সামাজিক মনস্তত্ত্ব জার্নালে প্রকাশিত সেই রিসার্চ পেপার থেকে জানা যায়ঃ খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের প্রার্থনাও মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে দেহকে কাজের জন্য তৈরি করতে সাহায্য করে।
যেসব মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন তারা দৈনন্দিন জীবনে সুফল ভোগ করেন। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত প্রার্থনায় মানুষ নিয়মাবর্তিতার শিক্ষা লাভের পাশাপাশি অস্থিরতা, হতাশা ও দুশ্চিন্তা রোগ থেকে দূরে থাকেন এবং একইসাথে এই অভ্যাস মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
নামাজ তথা যেকোন ধরনের প্রার্থনা মানুষকে জাগতিক লোভ-লালসার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও প্রবণতার সব খারাপ দিক থেকে দূরে রাখে, আবার একইসাথে প্রার্থনার ভিতর দিয়ে মানুষের মন স্থিরতা লাভ করে, আবার মানব দেহের সতেজতা ও শক্তি বহাল থাকে এবং কার্যসক্ষমে সহায়তা প্রদান করে আত্মনিয়ন্ত্রণ ঘটায়। সুতরাং সবাই যে ধর্মের হোন না কেন আমাদের অবশ্যই নিয়মিত প্রার্থনায় মনোনিবেশ করা উচিত।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল