দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানসিক তৃপ্তির জন্য এবং একঘেয়েমী জীবনে কিছুটা পরিবর্তনের জন্য বেড়াতে যাওয়া যায়। যেতে পারেন কক্সবাজার ও কুয়াকাটা। প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত স্থান।
বেড়াতে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হল সমুদ্রের কাছাকাছি কাছা কাছি কোথাও। তেমনই স্থান হচ্ছে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা। এ সময় সমুদ্র কিছুটা শান্ত থাকে। যে কারণে এ সময় বেড়াতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। পরিবারের সবাই মিলে বা বন্ধুরা দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আবার নতুন বিবাহ দম্পতির হানিমুনের উপযুক্ত জায়গাও কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। এই দুটি স্থানের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই। আমরা সবাই জানি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এই বাংলাদেশের কক্সবাজার। বিশ্বের এমন অনেক দেশেই সমুদ্র সৈকত বা Sea Beach আছে। কিন্তু সেগুলো প্রকৃতিগত ও নানা কারণে আমাদের দেশের কক্সবাজার বা কুয়াকাটার মতো নয়। ওদের সমুদ্র সৈকত বা Sea Beach গুলো একেবারেই কৃত্রিম মনে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের এই দুটি স্থান বিশ্বের নাম করা সমুদ্র সৈকতের সেরা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই সৈকতে হেঁটে বেড়ানো এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করার মজাই আলাদা।
কুয়াকাটা হল বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীতে। কুয়াকাটা এমন একটি স্থান যেখানে একটি জায়গা থেকে সূর্যদয় ও সূযাস্ত দুটোই দেখা যায়। আবার সৈকতের পাড়ি দিয়ে এগিয়ে গেলে বিশ্বের আরেক সৌন্দয্যের লিলা ভূমি সুন্দরবন।
প্রকৃতির অপরূপ ও অনাবিল সৌন্দর্য্য কখনও বর্ণনা করা যায় না। এই সৌন্দর্য্য অবলোকন করলে যেন মন হয় এই প্রকৃতির সৌন্দর্য্য সমুদ্রের ঢেউয়ের মত সকল মনের দু:খ-যন্ত্রণা দূর করে দেয়। আর এই অপরূপ সৌন্দর্য্য ক্যামেরা বন্দী করে রাখার মজাই আলাদা। এখানকার নৌকা/সাম্পানে ভ্রমণ, ঝিনুক কুড়ানো এক অন্যরকম অনুভূতির ব্যাপার। এখানকার খাদ্যের মধ্যে রয়েছে তাজা সামুদ্রিক মাছ ও শুটকি মাছ। এগুলো খেলে আপনার রসনা বিলাসে আসবে এক আলাদা অনুভূতি। সমুদ্র উপকূলে ডাবের মিষ্টি পানিও অন্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আপনি বেড়াতে যেতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ট্যুর আছে সেগুলোর মাধ্যমে যেতে পারেন। তাতে আপনার কোনই ঝামেলা থাকবে না। আবার প্যাকেজ ছাড়াও রয়েছে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি। সমুদ্রের তীর ধরে বেড়াতে পারেন পায়ে হেঁটে, জীপে এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে।
বেড়াতে যাওয়ার সময় কিছু টিপস্:
ব্যাগ এণ্ড ব্যাগেজ:
(১) ব্যাগ যতটা সম্ভব ছোট হওয়া ভাল।
(২) শক্ত মজবুত ট্রলিসহ ব্যাগ যা সহজে বহন উপযোগী এমন হলে ভাল হয়।
(৩) কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ হলে বহন করা সহজ হয়।
(৪) সমুদ্রে বেড়ানোর জন্য স্যান্ডেল নিন (রাবার/প্লাস্টিক হলে ভাল)।
প্রয়োজনীয় ওধুধ:
(১) ভ্রমণের সময় ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি-কাশি হতে পারে- তার ওষুধ, বমির ওষুধ।
(২) গ্যাস্টিকের সমস্যার ওষুধ, পাতলা পায়খানার জন্য খাবার স্যালাইন, ফিলমেট ট্যাবলেট সাথে রাখবেন।
(৩) সাথে রাখবেন স্যাভলন ক্রীম, ব্যান্ড এইড।
এইসব মিলিয়ে একটি বক্স বানিয়ে রাখতে পারেন। কারণ বিদেশ বিভুয়ে এগুলো আপনার কাজে আসতে পারে।
আরও কিছু প্রস্তুতি রাখুন:
(১) সকালে বা সন্ধ্যায় বেড়াতে যাওয়ার সময় হালকা শীতের কাপড়, চাঁদর নিতে ভুলবেন না।
(২) অতিরিক্ত এক জোড়া স্যান্ডেল সাথে রাখুন।
(৩) ক্যামেরা, চার্জার, ব্যাটারি ঠিকমত নিচ্ছেন কিনা দেখুন।
(৪) সমুদ্রের কাছে বেড়াতে গিয়ে বেড়াতে যাওয়াটা যেনো মাটি না হয় সেই জন্য চেষ্টা করুন নিরাপদ পানি খাওয়ার।
(৫) সাথে রাখুন কিছু শুকনো খাবার- বিস্কুট, চিপস্ ইত্যাদি।
[বি:দ্র: প্রকৃতিকে দেখতে যেয়ে আমরা প্রকৃতিকে নোংরা না করি সেই দায়িত্ববোধটা জাগ্রত রাখার চেষ্টা করুন এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করুন। আমাদেরই বাংলাদেশ, তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।]