দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত নির্বাচনের আগে মহাজোট নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তার মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রওশন এরশাদ। তখন শেষ পর্যন্ত রওশনই জয়ী হয়েছিলেন। এরশাদকে মহাজোটে এনে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু এবার কি পারবেন রওশন?
এমন অনেক প্রশ্নই দানা বেঁধেছে জনমনে। কারণ এরশাদ হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলেন সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে নির্বাচন করবেন। নির্বাচনের বিকল্প নেই। সেই মোতাবেক সরকারে যোগদিল জাতীয় পার্টি আবার মনোনয়ন জমা দিলো পার্টির নেতারা। কিন্তু হঠাৎ করেই কি হলো এরশাদ নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিলেন। তিনি বললেন, সব দল অংশ না নিলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাবে না।
এরশাদের এমন ঘোষণায় আওয়ামীলীগ, দেশবাসী এমনকি বিশ্বের অন্যান্য বন্ধু দেশগুলোও বিস্মিত হয়ে পড়েন। যদিও এরশাদের এ ধরণের মনোভাব দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন। কিন্তু বিশ্ব নেতারা এ ধরনের সিদ্ধান্তে সত্যিই বিস্মিত না হয়ে পারেননি। আর এরশাদের এ ঘোষণার ফলে বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আরও প্রখর হয়। কারণ বাংলাদেশের সামপ্রতিক নির্বাচন নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে, তাতে বিশ্বের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তিত।
এদিকে এরশাদ নির্বাচন করবেন না এবং সরকার থেকে সরে আসার কথা বললেও মন্ত্রী পরিষদে থাকা জাতীয় পার্টির সদস্যরা বেশ বেকায়দায় পড়েন। মন্ত্রী পরিষদে যোগ দিয়েই আবার সরে আসা তাদের প্যাস্টিজ ইস্যু হয়ে দেখা দেয়। যে কারণে প্রথম দিনেই জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর রওশন এরশাদও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তারা প্রধানমন্ত্রী কথা দেন বিষয়টি শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু এরশাদ এখন পর্যন্ত অনঢ় অবস্থানে।
এরশাদের মত বদলাতে সরকার রওশন এরশাদকে কাজে লাগাচ্ছে বলেও দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এমন অবস্থার কারণে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার একটি অংশের সরকারমুখী তৎপরতা নিয়ে সৃষ্ট ধূম্রজাল এখনও কাটছে না। হয়তো বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য আরও কয়েকদিন দেখতে হবে। গত নির্বাচনেও মহাজোটে যাওয়া নিয়ে জাতীয় পার্টির মধ্যে এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তখন রওশন এরশাদ এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন। কারণ রওশন এরশাদের একটায় যুক্তি ছিল, ১৯৯১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএনপি এরশাদকে জেলে পাঠিয়ে বহু মামলা করেছিল যার জন্য ৫ বছর এরশাদকে জেলে কাটাতে হয়। আর তাই আওয়ামীলীগের মহাজোটে থাকাকেই অনেক ভালো মনে করেন রওশন এরশাদ। এবারও এমন একটি হিসাব-নিকাশ নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও রয়েছে সম্মানের প্রশ্ন। কারণ কয়েকদিন হলো মন্ত্রী হয়ে আবার সেখান থেকে সরে আসাটা দেখতে বড়ই কটু লাগে। তবে এবার রওশন এরশাদ কি সত্যিই জয়ী হবে তার অভিযানে? এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জাপার একটি সূত্র জানায়, সরকারের নানামুখী তৎপরতা ও চাপের মুখেও এরশাদ ‘একতরফা’ নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড়। অপরদিকে তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদসহ জাপার তিন মন্ত্রী-উপদেষ্টা সরকারে থেকে যাওয়ার তৎপরতায় যুক্ত রয়েছেন। এ কারণে এরশাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। গতকালও এরশাদ সাংবাদিকদের বলেছেন, মন্ত্রী পরিষদের থাকলেই বা কি। আমরা নির্বাচনে যাবো না এটাই শেষ কথা। এরশাদকে বাগে আনার চেষ্টার পাশাপাশি সরকার এখন রওশন এরশাদকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে জাপাকে নির্বাচনে রাখার বিকল্প কৌশল নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল কাজী জাফর আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এটি সত্য বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।
এমন একটা অবস্থায় তাই এরশাদ ও তাঁর দলের চূড়ান্ত অবস্থান পরিষ্কার হতে আরও কয় দিন সময় লাগতে পারে। সময়ই বলে দেবে এরশাদ কি করতে যাচ্ছেন।
This post was last modified on ডিসেম্বর ৮, ২০১৩ 1:23 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের বেলায় ঘুমানোকে আমরা ভাত ঘুম বলে থাকি। তবে দিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের…