দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তারের করে হয়রানির প্রতিবাদে ভারত সরকার মার্কিন প্রশাসনের সাথে নিজেদের কূটনীতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত অবস্থায় নিয়ে গেছেন,ভারত সরকার একে নিজেদের জন্য সর্বোচ্চ অপমান হিসেবে ধরে নিয়েছেন।
ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমেরিকা এখনো দুঃখ প্রকাশ না করলেও তাঁরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিষয়টি মার্কিন প্রশাসন খতিয়ে দেখছে। এদিকে ভারতীয় প্রশাসন থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এর যোগ্য জবাব দেয়া হবে বলেও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দেবযানী তাঁর এক গৃহপরিচালিকাকে অবৈধ উপায়ে ভারত থাকে আনার চেষ্টা করছিল তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দিকে ভারত বলছে একজন কূটনীতিককে মার্কিন প্রশাসন গ্রেফতার করে বিশেষ রুমে নগ্ন করে পরীক্ষা করেছেন এবং তাঁর ডিএনএ সংরক্ষণ করেছেন, পড়ে দেবযানীকে মাদক পাচারকারীদের সাথে একই সেলে রেখেছে যা দেবযানীর জন্য এবং ভারতের জন্য অত্যন্ত অপমান জনক। ভারতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে। ভিয়েনা কনভেনশনের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা, সেখানে কেবল গুরুত্বর অপরাধের জন্যই কোন কূটনীতিককে গ্রেফতার করতে পারে কোন দেশ।
এদিকে ভারত এরই মাঝে ভারতে অবস্থিত আমেরিকার সকল কূটনীতিকের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং সকল মার্কিন কূটনীতিককে নিজ নিজ বৈধ কাগজ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলেছে। একই সাথে মার্কিন সকল কূটনীতিকের ভারতীয় সকল বিমান বন্দরের বিশেষ বোর্ডিং পাস বাতিল করে দেয়া হয়েছে। আমেরিকা থেকে ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে সকল প্রকার আমদানি পাস ও বাতিল করে দেয়া হয়েছে। মোট কথা ভারতে এখন মার্কিন কূটনীতিকরা কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাচ্ছেন না।
ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে ভারতের সকল বিরোধী দল সমর্থন দিয়েছে, অপর দিকে আমেরিকা এখনো ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তারের করে হয়রানির বিষয়ে কোন দুঃখ প্রকাশ করেনি, তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেছেন আমরা খতিয়ে দেখছি দেবযানীকে আইনের সকল প্রক্রিয়া ঠিক রেখে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিনা, যদি না হয়ে থাকে তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি ভারতীয় ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব সঙ্কর মেননের সাথে ফোনে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এদিকে কূটনীতিক দেবযানীকে বর্তমানে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ডলারে জামিন নিয়ে মার্কিন কনস্যুলেট থেকে জাতিসংঘ মিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত।
মোট কথা এই মুহূর্তে ভারত আমেরিকার মাঝে চলছে কূটনীতিক যুদ্ধ। দেখার বিষয় ভারতের এই অগ্নি মূর্তি ভাবের জবাব আমেরিকা কিভাবে দেয়!