দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতি থেমে নেই। অনুসন্ধানী জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নিরলস শ্রমের ফলে মহা বিশ্বের সীমানা দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে অনেক গ্রহ। যে গ্রহগুলো সম্পর্কে আমরা পূর্বে প্রকাশিত সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কৃত সবচেয়ে আকর্ষণীয় ১০টি গ্রহ শিরোনামের লেখাতে জেনেছিলাম। সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরে প্রথম এলিয়েন মুন বা চাঁদ আবিষ্কারের দাবি করলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
ইউনিভার্সিটি অব নটরডেম এর বিজ্ঞানীরা চলতি গবেষণায় সৌরজগতের বাইরে প্রথম উপগ্রহ বা চাঁদ আবিষ্কৃত হওয়ার বিষয়ে জোর দাবি করেছেন। সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কৃত গ্রহগুলোকে যেমন বলা হয় এলিয়েন গ্রহ তেমনি উপগ্রহকেও এলিয়েন মুন বলা হয়। এলিয়েন বলা হলেও সেখানে এলিয়েন বা ভিন গ্রহী প্রাণী আছে এমনটা কিন্তু নয়। এলিয়েন মুন মানে সৌরজগত তথা আমাদের সূর্যকেন্দ্রিক গ্রহ ব্যবস্থার বাইরে খুঁজে পাওয়া কোন উপগ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এগুলোকে exomoons কিংবা alien moon নামে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
গবেষকরা লক্ষ্য করেন, একটি গ্রহ সদৃশ বস্তু অপেক্ষাকৃত বড় একটি গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আপেক্ষিকভাবে এটি সৌরজগতের নিকটবর্তী। বস্তু দুটির মধ্যকার দূরত্ব মাপা হয়েছে ১৮০০ আলোকবর্ষ। উল্লেখ্য, আলো ১ বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে সেই দূরত্বকে এক আলোক বর্ষ বলা হয়। যে বস্তুটিকে কেন্দ্র করে অপরটি ঘূর্ণায়মান আছে সেটিকে গ্রহ বিবেচনা করা হচ্ছে। এটার ভর বৃহস্পতির ভর থেকে ৪ গুণ বেশি। এলিয়েন চাঁদটি আমাদের পৃথিবীর ভরের অর্ধেকের সমান। গবেষকদের প্রাপ্ত তথ্যাদি নির্ভূল হয়ে থাকলে, এটিই হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্রথম এলিয়েন চাঁদ বা exomoon।
আবিষ্কৃত এলিয়েন চাঁদ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংশয় রয়েছে। তবে তারা বিশ্বাস করেন, এটি এলিয়েন চাঁদ যদি নাও হয়ে থাকে পরবর্তী অনুসন্ধানে তাদের অনুসারিত কার্যপদ্ধতি কাজে আসবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল