দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুস্থ থাকতে মধুর বিকল্প নেই। মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এক কথায় বলতে গেলে, নানা গুণের অধিকারী এই মধু মানুষের দীর্ঘ জীবন দেয়।
আসুন এই মধু কি কি উপকারে আসে জেনে নেই:
# চায়ের সঙ্গে মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেস্মা রোগের উপশম হয়।
# মধুর সঙ্গে গুড়ের রস মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।
# শরীরের বাইরের কোন অংশের ক্ষততে মধুর প্রলেপ লাগালে অনেক সময় মলমের চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
# হাঁপানির মৃদু আক্রমণ এবং শ্বাসের অল্পতায় অনেক সময় মধু শুকলে উপকার পাওয়া যায়।
# পানির সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলির ক্ষত সারে।
# পানিসহ মধুর কুলকুচি করলে গায়কদের গলার স্বর বৃদ্ধি পায় এবং অনেকের মতে এটা টনিকের মতো কাজ করে।
# এক কাপ দুধে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
# চোখের অসুখেও মধু অনেক উপকার দেয়।
# গরম পানির সঙ্গে মধুর কুলকুচি করলে গলগণ্ড রোগের উপকার হয়।
# শিশু ও বৃদ্ধদের পক্ষে আদর্শ শক্তিশালী আহার হলো মধু।
# মৌরির পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শাক-সবজির গ্যাস বা দূষিত বায়ু বেরিয়ে যায়।
# মেদ রোগে অর্থাৎ যারা খুব মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাদের রোগা করবার জন্য বা মেদ কমিয়ে দেওয়ার জন্য মধুর অল্প পানি মিশিয়ে খেলে সুফল পাওয়া যায়।
# দুর্বল শিশুকে দু-এক ফোটা মধু দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার খাওয়ালে তার স্বাস্থ্য ভালো হয় ও শক্তি লাভ করে।
# আদার রস আর মধু এক চা চামচ এক সঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধেবেলা খেলে সর্দি সেরে যায় ও খিদে পায়।
# টাটকা মাখনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ক্ষয় রোগি উপকার পাবেন।
# দুই চা চামচ পাতি লেবুর রসের সঙ্গে এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে খেলে ব্লাড প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ কমবে।
# মধুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে কুলকুচি (গার্গিল) করলে যাদের টনসিল বেড়ে গেছে তারা উপকার পাবেন।
# পানি আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে কিছুক্ষণ পর কুলি- করলে মুখ স্বচ্ছ হয় অর্থাৎ মুখে একটা তাজা ভাব আসে। মুখের ঘা সারে দাহ-পিপাসা ইত্যাদি দূর হয়।
# প্রতিদিন সকালে দুই চা চামচ মধু ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে চার-পাঁচ মাস ধরে খেলে চুলকানি, ফুসকুড়ি, ব্রণ প্রভৃতি ত্বকের রোগ একেবারে মূল থেকে নির্মূল হয়।
# পাতলা পরিষ্কার কাপড় মধুতে ভিজিয়ে শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে রাখলে একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।
# সকালবেলা এক কাপ গরম বা ঠাণ্ডা পানিতে এক চা চামচ এবং রাত্রিতে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এক চা চামচ মধু খেলে অজীর্ণতা ও কোষ্ঠ্যবদ্ধতা দূর হয়ে যায়।
এভাবে মধুর অজস্র উপকারিতা রয়েছে। আবার বৈজ্ঞানিক মত অনুসারে মধু সহজে হজম হয়, অত্যন্ত হালকা, শরীরের দাহের শান্তি করে, উত্তেজক, শোষক, বলদায়ক ও হৃদ্য অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের পক্ষে খুবই উপকারী। নানারকম অসুখ সারাবার এবং অসুখের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক শক্তি গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে মধু। তাই আসুন এই শীতে বেশি করে মধু খেয়ে সুস্থ্য জীবন-যাপন করি।