দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়ায় একদলীয় ব্যবস্থার এক নিষ্ঠুর শাসনে নিস্পেষিত হয়ে চলেছে সেদেশের জনগণ। উত্তর কোরিয়ার সেই বিভীষিকাময় জীবন বিশ্লেষণ করলে হাস্যকর এবং নিষ্ঠুর একনায়কতান্ত্রিক দেশ বলা যায় অনায়াসেই। আজ দশটি কারণ জানানো হলো যেকারণে উত্তর কোরিয়াকে সবচেয়ে হাস্যকর স্বৈরাচারী শাসন আখ্যায়িত করা যায়।
১. প্রেসিডেন্টের সীমাহীন স্বৈরাচারী আচরণঃ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইল। তার ইচ্ছা অনিচ্ছাতেই চলে পুরো দেশ। উত্তর কোরিয়ার মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করা হয় না। তারা যে নিগৃহীত হচ্ছে এই বোধটুকুও তাদের নেই। এমন হিংসাশ্রয়ী এবং নিষ্ঠুর একনায়কতান্ত্রিক দেশের জন্য দায়ী করা হয় কিম জং ইলকেই।
২. নিষিদ্ধ কাজ থেকে টাকা আয়ঃ
উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রধান আয়ের উৎস আর্মস, ড্রাগ সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে বিক্রি করা। এমনকি তারা আমেরিকান ডলার নকলের জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ত।
৩. শিক্ষার বেহাল অবস্থাঃ
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিজেদেরই চেয়ার, ডেস্ক প্রদান করতে হয়।
৪. রাজনৈতিক বন্দী শিবিরঃ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ সারা উত্তর কোরিয়ায় বেশ কিছু গোপন রাজনৈতিক বন্দীশিবির আছে যেখানে প্রায় ২ লাখ লোক বন্দী। এদের খামারে, খনিতে ও কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করা হয়, বন্দীশিবিরের চারপাশ বিদ্যুৎ সংযুক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরা।
৫. দুর্ভিক্ষে প্রচুর মানুষের মৃত্যুঃ
সরকারের বাজে এবং হঠকারী কৃষি নীতির কারণে ১৯৯০ সালে ভয়াবহ দুঃভিক্ষ হয়। দুর্ভিক্ষে নিহত হয়েছিলো প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ।
৬. খাদ্যাভাব এবং অপুষ্টির প্রাদুর্ভাবঃ
উত্তর কোরিয়ার ২.৫ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগেন এবং এরা অধিকাংশ অপুষ্টিতে আক্রান্ত।
৭. নিজস্ব গাড়ি ক্রয়ে আইনগত বাধাঃ
সামরিক লোক কিংবা সরকারী লোক ব্যতীত কেউ নিজস্ব গাড়ি ক্রয় করতে পারবে না। এরকম একগুয়ে এবং অমানবিক শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।
৮. সামরিক খাতে প্রচুর ব্যয়ঃ
মানুষের নাগরিক সুবিধা প্রদান না করেই উত্তর কোরিয়ার শাসকরা দেশের মোট আয়ের তিন ভাগের এক ভাগ সামরিক খাতে ব্যয় করে। তাদের আছে পৃথিবীর বৃহৎ সেনাবাহিনী।
৯. ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণঃ
মানুষদের ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে যদিও ট্যুরিস্টরা থ্রিজি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পায়।
১০. মিডিয়া নিয়ন্ত্রণঃ
সরকারবিরোধী মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয় খুব কঠোরভাবে। অধিকাংশ মিডিয়াকেই সরকারের ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খবর প্রচার করতে বাধ্য করা হয়।
তথ্যসূত্রঃ লিস্ট২৫