দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রবল খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের দেশের প্রতি দশ জনের মধ্যে ৪ জন প্রতিদিন দুই বেলা পেট ভরে খেতেও পান না। তবুও দেশটির নীতি নির্ধারকরা দুর্ভিক্ষের পথেই হাঁটছেন।
গত এক দশকের মধ্যে এ বছর দেশটিতে কৃষিকাজে চূড়ান্ত মন্দা দেখা দেয়। যে কারণে নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ রেশনের পরিমাণ আরও কমিয়ে দিয়েছে পিয়ং ইয়ং সরকার। সব মিলিয়ে আগামী দিনে দেশটির নাগরিকদের দুর্দশা আরও বাড়তে চলেছে বলে গত শুক্রবার জাতিসংঘের তরফ হতে জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে গত এপ্রিল ও ২০১৮ সালের নভেম্বরে একটি যৌথ সমীক্ষাও চালিয়েছিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডৱ্লিউএফপি)। সমীক্ষার যা উঠে এসেছে তা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। জানা যায়, এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার প্রত্যেক বাসিন্দা দৈনিক মাত্র ৩০০ গ্রাম করে রেশন পান, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, কিমের দেশের ১ কোটির বেশি মানুষ চূড়ান্ত খাদ্য সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়ে। যার অর্থ হলো ‘পরবর্তী শস্য উৎপাদিত না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত খাদ্য তাদের কাছে নেই’ বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএফপি-র মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা ২.৫২ কোটি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চান না জাতিসংঘের এই কর্মকর্তারা। তবে এভাবে আর কয়েক মাস চললে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা।