দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিশরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্রাদারহুড ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত ১৯ ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি নাজুক।
ওই ঘটনা আহত হয়েছেন শতাধিক। যদিও সংবাদ মাধ্যম স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলেছে নিহততের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি। গত পরশু শুক্রবার দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলার সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। হতাহতের ঘটনা ঘটে রাজধানী কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ, ইসমাইলিয়া ও ফাইয়ুম শহরে। আসিউত ও সিনাই অঞ্চলেও সংঘর্ষ হয়েছে তবে সেসব এলাকায় কেও নিহত হয়নি।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবারের সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১২২ বিক্ষোভকারীকে আটক করে। সামরিক শাসনের অবসান ও নয়া সংবিধানে বিরোধীদলগুলোর মতামতের প্রতিফল ঘটানোর দাবিতে জুমার নামাজের পর সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ পালনের ডাক দেয় মুরসির সমর্থক ও ব্রাদারহুড কর্মীরা। জুমার নামাজের পর তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
নতুন প্রণীত ওই সংবিধানে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের শাসনামলের মতো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সংবিধানের ওপর গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি’র বিচার নিয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। এমনকি মুরসিকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানায় ব্রাদারহুডর নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ মাধ্যমকে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, “আমরা কাওকে ভয় পাই না। আমরা মিশরকে ভালোবাসি, আমরা যা করছি তা মিশরকে ভালোবেসেই করছি। আমরা দ্রুত সামরিক শাসনের অবসান চাই।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের জুলাই মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিশরে যে বিক্ষোভ শুরু হয় সম্প্রতি নয়া সংবিধান প্রণয়ন নিয়ে তা আবার নতুন এক রূপ ধারণ করে। যে দলটি এক বছর আগেও দেশটির ক্ষমতায় ছিল নয়া সংবিধানে তাদের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করে ব্রাদারহুড নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।