দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভয়েস আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য কৌশলগত’।
জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ, জোট বা ঐক্য বা আঁতাত কৌশলগত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত বলেন, জোট বলেন বা ঐক্য বলেন- তা আওয়ামী লীগই আগে করেছে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, ‘৮৬ সালের নির্বচানে আমরা কেও যাবো না। তারপর মাঝ রাতে এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনে গেল আওয়ামী লীগ। জামায়াতের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে নিয়ে গেল। নিরপেক্ষ সরকারের দাবিটা আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের। সে জন্য তখন আওয়ামী লীগ অনেক নাশকতা করেছে। দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। আওয়ামী লীগ এখনও জামায়াতের সঙ্গে সেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এই জোট সম্পূর্ণভাবে কৌশলগত।’
ভয়েস অব আমেরিকার ওয়াশিংটন স্টুডিও থেকে নেয়া সাক্ষাৎকারে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং, একাদশ সংসদ নিয়ে আলোচনা পরের বিষয়। তিনি বলেছেন, এছাড়া প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। কারণ যেখানে ৫ ভাগও ভোট পড়েনি সেখানে কেমন করে ৪০ ভাগ ভোট হলো এ নির্লজ্জ মিথ্যাচারকে গুছাতে তাদের দু’দিন সময় লেগেছে বলে তিনি ওই সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন।
বিএনপির দলীয় অবস্থান ও ১৮ দলের পরবর্তী ভাবনা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, প্রথম কথা আমি বলবো যে, ‘দেশে কোন নির্বাচন হয়নি। যেটা হয়েছে তা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের মানুষ সরকারকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেখানে ১৫৩টি আসনে কেও অংশগ্রহণ করেনি, কন্টেস্ট করেনি, কেও আগ্রহীই নয় নির্বাচন করতে। সেখানে শুধু একদলীয় নির্বাচন ১৫৩টি আসনে হয়েছে। কোন প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। দ্বিতীয়ত, যে ১৪৭টি আসনে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের কথা ছিল সেখানেও দেশের ও বিদেশের মিডিয়া কর্মীরা দেখেছেন, ভোটকেন্দ্রে মানুষই নেই। প্রিজাইডিং অফিসার কোন কোন জায়গায় ঘুমাচ্ছে। কোন কোন জায়গায় নিজেরাই ভোট দিচ্ছেন। ৪৭-৪৮টি ভোট কেন্দ্রে কোন ভোটার ভোট দেয়নি। অনেক কেন্দ্র বন্ধ। তারপরও যেটা হলো তাতে ৫ ভাগও হবে না। তো এতে কি হলো। মানুষের এটাই কি রায় জনগণের মতামতের কোন প্রতিফলন এখানে হয়নি।’ বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘কাজেই এটাকে কোন ইলেকশন আমি বলবো না। এটা ভাগাভাগির নির্বাচন বলতে পারেন। তারা নিজেরা সিট এবং ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সত্যিকারের একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। যেখানে সকল দলের অংশগ্রহণ থাকবে। সেরকম একটি নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনটা হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
বেগম খালেদা জিয়া ভয়েস অব আমেরিকাতে আরও বলেন, ‘মানুষ এখন আরও পরিষ্কার ৫ জানুয়ারির পরে, যে আওয়ামী লীগের অধীনে কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এই নির্বাচন কমিশন যে একটা মেরুদণ্ডহীন বা দলীয় সরকারের মতো কাজ করেছে, তা একদম পরিষ্কার। যেখানে ৫ ভাগও ভোট পড়েনি সেখানে কেমন করে ৪০ ভাগ ভোট হলো এটা একটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার। এজন্য তাদের দু’দিন সময় লেগেছে। সব ঠিকঠাক করে, গুছিয়ে কিভাবে বলবে তা ঠিক করে। কাজেই এটা পরিষ্কার এবং জাতি এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
This post was last modified on জানুয়ারী ১১, ২০১৪ 1:35 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ এবার ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঐক্য সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংগীতে দাঁড়ালেন না আফগান মন্ত্রী: কিন্তু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলন্ত ট্রেনের পাদানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। পাদানিতে দাঁড়িয়ে ট্রেনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ আশ্বিন ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুণীজনরা বলে থাকেন, ছোট ছোট লক্ষ্য আপনাকে স্থির করতে। সেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ইসরায়েলে নতুন করে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করলো জার্মানি। তথ্য…
View Comments
khaleda zia kono din o bola nai jamat ar sathe jot koshol goto...afnader moto kisu holud mediar jonno ajj desh o jatir a hal....doya kora banglar jonogonar sathe thakun@the Dhaka times
KhaledaZia never said sorry for 1996 election, so how come She expecting sorry from Hasina for similar election. She got to learn from it. If BNP come in power, they are going free all war criminals. It's উনাচ্চেপ্তাব্লে।