দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিংবদন্তি হেভিওয়েট বক্সার মোহাম্মদ আলীর নাম কে না জানে। তাঁর কন্যা লায়লা আলী একসময় বক্সিং এ জড়িত থাকলেও এখন রিং ছেড়ে পরিবার সামলানো এবং সামাজিক সচেতনার কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি তার পিতা, সন্তান এবং পরিবার সম্পর্কে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন।
মোহাম্মদ আলী প্রায় তিরিশ বছর ধরে পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন এবং তার স্বাস্থ্যও ভালো যাচ্ছে না। তবুও তিনি মানুষের উপকার করেন এবং একইসাথে বাচ্চাদের খুব ভালোবাসেন। লায়লা আলীর ভাষ্যমতে – বাচ্চাদের তিনি চুমু দেন, জড়িয়ে ধরেন। এই ভালোবাসার মাধ্যমেই মোহাম্মদ আলী আনন্দময় থাকেন। সবচেয়ে বেশি খুশী হন তিনি লায়লা আলীর ছেলেকে দেখলে, সে দেখতে কিংবদন্তী আলীর মতই।
সন্তানদের লালন – পালন সম্পর্কে লায়লা আলী জানান – প্রত্যেক পিতামাতার শিক্ষিত হওয়া জরুরি এবং অবশ্যই সন্তানদের সঠিক স্বাস্থ্যর প্রতি নজর দেওয়া উচিত। আশি ভাগ সময়েই হয়ত সন্তানদের ফ্রেশ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কথা বললেও তারা হয়ত ফাস্ট ফুড খেতে চাবে। কিন্তু তাদের ফাস্ট ফুড খেতে না দিয়ে অবশ্যই ফল,শাকসবজির মত পুষ্টিকর খাদ্য পরিবেশন করতে হবে।
লায়লা আলী আরো জানান – তিনি সবসময়ই সঠিকভাবে করা রান্না সন্তানদের পরিবেশন করেন। এবং তিনি তাঁর সন্তান এবং তাদের বেড়ে উঠা নিয়ে গর্বিত। নিজেকে এক কন্যা এবং এক পুত্রের সুপার-মম(Super-Mom) দাবি করেন।
আরো সন্তান গ্রহণ করবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান কখনই নয়। নিজেকে এক কন্যা এবং এক পুত্র নিয়েই তিনি সুখী জানান।
তাঁর স্বামী Curtis Conway এর সময় কাটানো নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন লায়লা আলী। সন্তানদের রাত নয়টার ঘুমাতে পাঠিয়ে দিয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারা একত্রিত হন। সারাদিন কি করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করেন, অথবা বই পড়েন কিংবা মুভি দেখেন।
লায়লা আলীর বক্সিং রিং ছেড়ে এখন পুরোদস্তুর ঘরকন্যার কাজে ব্যস্ততা সবার জন্য শিক্ষামূলক। নিজের পিতা, সন্তান এবং স্বামীর প্রতি ভালোবাসাময় আচরণ তাকে সুখী করে যেমন তুলেছে তেমনি আমাদেরও নিজেদের পরিবারের প্রতি সহানুভুতিশীল এবং হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে তোলার শিক্ষা প্রদান করেন।
তথ্যসূত্রঃ এবিসিনিউজ