দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জলবায়ু পরিবর্তন এবং বেশি বেশি পানি ব্যবহারের কারণে ইউরোপ আরো গুরুতর খরায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। এই শতাব্দীর শেষে বিশেষ করে দক্ষিণ ইউরোপে খরা বর্তমান অবস্থা থেকে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
ইউরোপীয় কমিশন তাদের নতুন গবেষণা মতে ধারণা করছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং বর্ধিত চাহিদার কারণে পানির সংকট আরো বাড়বে। গত ৩০ বছরে শুষ্কতার কারণে ইউরোপের ১০০ বিলিওন ইউরোর বেশি খরচ হয়।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর খুব বেশি পানি ব্যাবহারের কারণে ইউরোপের কোন অংশে বেশি খরা হবে তা নির্নয়ে গবেষকরা কম্পিউটার মডেল ব্যাবহার করে। ইউরোপীয় কমিশনের জলবায়ু গবেষণা কেন্দ্রের জলবায়ু ঝুঁকির একজন গবেষক Giovanni Forzieri বলেছেন, আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশেষ করে ইউরোপের দক্ষিণ অংশে অনেক নদী অববাহিকায় পানি সরবরাহ কমার চক্র বৃদ্ধি পাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সেচ কাজে আর শিল্প প্রতিষ্ঠানে পানির ব্যাবহারের কারণে নদীর পানির প্রবাহ মাত্রা কমবে। তারা ২১০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিস্থিতির হাইড্রোলজিকাল (জলানুষন্ধান বিদ্যাভিত্তিক) মডেল বিস্তৃত করে দেখেছে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের পানি বিশেষজ্ঞ Luc Feyen বলেছেন “এই গবেষণায় ২১০০ পর্যন্ত আমাদের সমাজের আমরা বিভিন্ন সেক্টর দ্বারা ভবিষ্যতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন এবং পানি ব্যবহারের পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য, প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য বিবর্তনের বর্ণনা রয়েছে। তারপর জলবায়ু এবং পানি ব্যাবহারের মডেল গুলো গ্রিনহাউজ গ্যাস কেন্দ্রীকরণ আর ভবিষ্যতে জলবায়ুতে পানির চাহিদা ও পরিমাণ নির্নয়ে ব্যবহৃত হয়”।
বিজ্ঞানীরা একটি হাইড্রোলজিকাল মডেল তৈরি করতে ইউরোপের যেসব নদী অববাহিকায় উক্ত অবস্থা বজায় আছে সেগুলোতে হিসাবকৃত শর্ত গুলো ব্যবহার করেন। তাদের গবেষণায় বেরিয়ে আসে, দক্ষিণ ইউরোপ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
আইবেরিয়ান পেনিনসুলা, দক্ষিণ ফ্রান্স, ইতালি এবং বলকানে নদীর সর্বনন্ম স্রোত প্রবাহ প্রায় ৪০ শতাংশ কমতে পারে আর খরা ৮০ শতাংশ বাড়তে পারে। ২১০০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণতা ৩.৪ সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে, বিশেষ করে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে শুষ্কতা ঘন ঘন হবে আর প্রত্যেকবার আরো দির্ঘায়িত হবে। তারা হিসাবকৃত তাপমাত্রার খারাপ দিক দেখিয়ে সতর্ক করছে। উদাহরণ স্বরূপ, শতাব্দীর শেষদিকে আইবেরিয়ান পেনিনসুলা জুড়ে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।
ধন্যবাদান্তেঃ ডেইলি মেইল