দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নবজাত শিশুকে কি কি খাদ্য দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। আজ জন্মের পর থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
নবজাত শিশুকে শাল দুধ দিতে হবে। অর্থাৎ জন্মের পর থেকেই ২/৩ দিনের মধ্যেই মায়ের বুকে যে ঘন হলুদ রংয়ের দুধ আসে তাই শাল দুধ। অনেকেই কুসংস্কারের বষে মায়ের এই শাল দুধ চিপে ফেলে দেন। এটা শিশুর জন্য রীতিমতো বঞ্ছনাকর। অথচ এই দুধে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শিশুর দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শালদুধ শিশুর পেটের প্রথম কালচে সবুজ পায়খানা বের করতে সাহায্য করে এবং নবজাতের জণ্ডিসের মাত্রা কমায়।
জন্মের পর থেকে ৫ মাস বয়স
জন্মের পর থেকে ৫ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে। এই সময় অতিরিক্ত কোন খাদ্যের প্রয়োজন নেই। এমনকি এক ফোটা পানিও নয়। শিশু দিনে যতবার খেতে চায়, ততবার খেতে দিতে হবে। অর্থাৎ শিশু কাঁদলেই মায়ের বুকের দুধ খেতে দিতে হবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা যেনো বেশিক্ষণ অভুক্ত না থাকে। অর্থাৎ আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় শিশুকে অভুক্ত রাখা যাবে না। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮ বার খাওয়াতে হবে।
৫ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত
৫ মাস থেকে ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবার শুরু করতে হবে। একে বলে উইনিং। এই সময় সুজি ও খিচুড়ি হলো শিশুদের জন্য উন্নত মানের খাবার। এই বয়সী শিশুর খাবার হবে:
# সকাল ৬টায় বুকের দুধ
# সকাল ৮টায়: সুজির হালুয়া, ডিম, বিস্কুট, পায়েস এবং সবজির সুপের যেকোন দুইটি খাবার দেওয়া যাবে। তবে এই সময় খাবারের সঙ্গে ফলের রসও দেওয়া যেতে পারে।
# সকাল ১১টায়: খিচুরির সঙ্গে ফলের রস ও দুধ দিতে পারেন।
# দুপুর ২টায়: নরম ভাত, সবজি, মাছ-মাংসের কলিজা এবং ডাল দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে দেওয়া যায়। কোন মসলা দেওয়া যাবে না। তবে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা দেওয়া যাবে। খাওয়ারের পর পরই দুধ দেওয়া যাবে। শিশু যতটা খেতে চাই ততটা।
# বিকেল ৫টায়: সবজির সুপ, হালুয়া ও দুধ দিতে পারেন। সঙ্গে একটি ছোট কলা বা যে কোন ফল দিতে পারেন।
# রাত ৮টায়: নরম ভাত অথবা খিচুড়ি দিতে পারেন।
# রাত্রি ১০টায়: দুধ দিতে হবে। তাছাড়াও খিদে পেলে গভীর রাত পর্যন্তও মায়ের বুকের দুধ দেওয়া যেতে পারে।