দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাতাস প্রচুর ধোঁয়া-কুয়াশার মিশ্রন থাকাতে চীনে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত দেখা যায়না। ফলে চীন সরকার জনগণকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখাতে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন।
চীনের বাতাসে রয়েছে প্রচুর ধোঁয়া এবং দূষণ ফলে সেখানে সাধারণ বাতাসের নিরাপদ ধুলাবালির পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর বেঁধে দেয়া বাতাসে দূষণের পরিমাণ ২৫ microgram সেখানে চীনের বাতাসে রয়েছে ৫০০ microgram এর উপরে দূষণ!
তবে চীনে ইদানীং বাতাস দূষণ অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এখন চীনের বাতাসে দূষণের পরিমাণ ৩০০ থেকে ৫০০ এর মাঝেই রয়েছে। আগের চেয়ে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।
এদিকে চীনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে চীনের মানুষের ত্বকে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। এর পেছনেও মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে জনগণ পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পাওয়া। এ সকল কারণ নিয়ে চীন সরকার বাতাস দূষণ রোধে নানান কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে এখনোই যদি বাতাস দূষণের লাগাম না টেনে ধরা হয় তবে ভবিষ্যতে চীনের মানুষ আকাশ দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া চীনের সমৃদ্ধি বিগ্নিত হবে একই সাথে জনগণ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন।
যাই হোক বাতাসের এই দূষণের কারণে সূর্যাস্ত না দেখতে পাওয়ার জন্য চীনের জনগণকে সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ করে দিতে রাস্তায় এবং বিশেষ এলাকার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে বিশাল আকারের সব স্ক্রিন। এসব স্ক্রিনে সূর্যাস্তের সময় সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময় সূর্যোদয় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ভিডিওতে দেখুনঃ
http://youtu.be/sPJtSuL-qaU
চীনের এই প্রয়াস যতটা না প্রযুক্তিগত ভাবে আধুনিক তার চেয়ে অনেক বেশি সঙ্কার! এভাবে তো পৃথিবীর জীবন চলবেনা। কৃত্রিম উপায়ে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত দেখা যাবে ঠিকই সূর্যের দেখা না মিললে চীনের বিশাল অঞ্চলের প্রাণী বৈচিত্র্য শীগ্রই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।
সূত্রঃ দি টেক জার্নাল