দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০ জন গ্রাহকের হিসাব হ্যাক করে সেখান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মত সরিয়ে নেয়া হয়েছে অন্য একটি একাউন্টে।
অনলাইন ভিত্তিক কিছু সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্য বিবরণীর বর্ণনা দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট কয়েকজন গ্রাহক নিজ নিজ একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে অভিযোগের ভিত্তি ছিল এবং ঐ সব গ্রাহকের একাউন্ট থেকে অর্থ সরান হয়েছিল অন্য আরেকটি একাউন্টে।
হ্যাক হওয়া সকল একাউন্ট অনলাইন ভিত্তিক এবং তারা মোবাইল বেঙ্কিং বেবস্থাও চালু করেছিলেন নিজ নিজ একাউন্টের অধীনে। প্রাথমিক ভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ব্র্যাক ব্যাংকের ৩ জন গ্রাহক নিজেদের একাউন্ট থেকে অর্থ সরানর বিষয়ে অভিযোগ করেন। এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল তদন্তে দেখতে পান ঐ তিন জন ছাড়াও একই সাথে আরও ৩০ জনের একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। অনেক একাউন্ট মালিক এখনো জানেনই না তাদের একাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে হ্যাক হওয়ার পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং এর নিরাপত্তা দুর্বলতাকে। তদন্তে দেখা যায় অনলাইন ব্যাংকিং চালু থাকলেও ব্র্যাক ব্যাংকের অনলাইন সার্ভারে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। সার্ভার এখনো স্বয়ংক্রিয় নয়।
ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এক সংবাদ মাধ্যমকে এই হ্যাকিং এর দায় এড়িয়ে বলেন,” আমরা একক ভাবে এর দায় নিতে রাজি নই, অনলাইন ব্যবস্থা ব্যাংকিং এর একটি প্লাটফর্ম আমাদের ব্যাংকের গ্রাহক অন্যান্য ব্যাংক কিংবা প্রতিষ্ঠানের সাথে অর্থ লেনদেন করে থাকেন অনলাইনে। এসব ক্ষেত্রে দায় একা আমাদের নয়।”
অপর দিকে হ্যাক হওয়ার বিষয় সত্যতা শিকার করে নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, হ্যাক হয়েছে তবে তা আমাদের সার্ভার থেকে নয় গ্রাহকের ইমেল একাউন্ট থেকে। সেখানে গ্রাহকের পাসওয়ার্ড ছিল।’
তবে বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই সকল ব্যাংকের অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার নিরাপত্তা আরও কঠিন করে তৈরি করা সময়ের দাবি।