ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবার আবিষ্কার করল কম্পিউটারভিত্তিক রেললাইন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। তড়িৎ প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষার্থী খন্দকার মারছুছ সমপ্রতি সাংবাদিকদের সামনে তার এ আবিষ্কারের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন।
খন্দকার মারছুছ সাংবাদিকদের তার আবিষ্কার সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের রেললাইনে বিদ্যমান ক্রসিংগুলো সাধারণত গেটম্যান দ্বারা পরিচালিত হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি দাবি করেন, তার আবিষ্কৃত এই যন্ত্রটি ট্রেন আসার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই রেলক্রসিংয়ের গেটটি সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেবে। আবার ট্রেনটি ক্রসিং পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংয়ক্রিয়ভাবে খুলে দেবে। ফলে অন্যান্য গাড়ি চলাচল শুরু করতে পারবে। যন্ত্রের কারিগরি দিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ যন্ত্রের সঙ্গে কম্পিউটার সংযোগ থাকার ফলে প্রতি মুহূর্তে ট্রেন আসা যাওয়া বা গেট কাজ করছে কিনা এগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূর থেকে বসে পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। একটি কম্পিউটার থেকে প্রায় ৪০-৫০টি গেট এক সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রকল্পটি তৈরি করতে তার সময় লাগে প্রায় দেড় বছর। এ প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেন রুয়েটের প্রভাষক সেলিম হাবিব।
সেলিম হাবিব বলেন, ‘প্রকল্পটিকে সরকারিভাবে তৈরি এবং প্রয়োগ করা হলে ট্রেন লাইন নিয়ন্ত্রণে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’ শিক্ষকদের উদ্যোগে তার এ প্রকল্পটিকে নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট ভিসি ড. সিরাজুল করিম চৌধুরী। এ সময় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে রুয়েটের ভিসি ড. সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের প্রাচীন এই যোগাযোগ মাধ্যমের প্রধান সমস্যা হল গেট প্রহরীর অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, যদি এমন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় তাহলে দেশের ট্রেন দুর্ঘটনা বহুগুণে কমে যাবে।