দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ব্যাংক লুটের ঘটনার মূল হোতা সোহেলের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় পুলিশ মূল হোতা ইউসুফ মুন্সী ওরফে হাবিব ওরফে সোহেলের স্ত্রী মাহিলাকে আটক করেছে। ঢাকা থেকে আটক করার পর তার কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সোহেলের দেওয়া তথ্যমতে গতকাল তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকায় যায়। গতকাল বিকালে ঢাকার শ্যামপুরের কদমতলী এলাকায় মদিনা মসজিদ সংলগ্ন নূর মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে একটি ব্যাগের মধ্য থেকে আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে থেকে স্ত্রী মাহিলাকে আটক করা হয় বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, ইউসুফ কিশোরগঞ্জে ব্যাংক লুটের পর ঢাকার শ্যামপুরে নূর মোল্লার বাসাটি সাড়ে চারহাজার টাকায় ভাড়া নেয়। সেখানেই টাকাসহ অবস্থান করছিল সে। পরে র্যাব ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকাসহ ইউসুফ ওরফে সোহেল ও তার ভাই ইদ্রিসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোনালী ব্যাংক নিকলী শাখার এমএলএসএস আবু বকর সিদ্দিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। সে এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিচ্ছে। তবে ওর দেওয়া তথ্য পুলিশ যাচাই করেই এগুচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। পুলিশ বলছে, খুব শীঘ্রই তারা এ ঘটনার মূল কারণ উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবেন।
উল্লেখ্য, সুড়ঙ্গ কেটে সিনেমা স্টাইলে কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ইউসুফ ওরফে সোহেল।