দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় জঙ্গী সংগঠন উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন।
ভারতীয় সংস্থার উদ্বৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন। ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, পরেশ বড়ুয়ার অবস্থান গত কিছুদিন ধরে একেবারেই অজানা থাকলেও সমপ্রতি তিনি তার সহযোগী জ্যোতির্ময় বরালির সঙ্গেও নাকি যোগাযোগ করেন। তার ওই ফোন কল ও সার্বিক তথ্য বিবেচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি চীনের রুই লি নামক শহরে অবস্থান করছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে পরেশ বড়ুয়া এক বান্ধবীর সঙ্গে গত ২ বছর ধরেই সেখানে বসবাস করছেন। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান বাংলাদেশে বসবাস করছে বলে ওই খবরে দাবি করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কয়েক মাস যাবত নিজের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কোনো প্রকার যোগাযোগ করছিলেন না পরেশ বড়ুয়া। কিন্তু কিছুদিন আগে পরেশ বড়ুয়া তার সহযোগী জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি জরুরি ব্যাগ উদ্ধারের ব্যাপারে নাকি খোঁজ-খবর নেন। ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পরেশের সেই ব্যাগে তার ব্যবহৃত কয়েকটি সিম কার্ড এবং জরুরি কিছু ফোন নম্বর রয়েছে বলে কথোপকথনে বোঝা যায়।
ধারণা করা হয়, ব্যাগটি ছিল উলফার সহকারী অর্থ সম্পাদক পার্থ গগৈয়ের কাছে। তিনি ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার পরিকল্পনা গ্রহণের পর পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশে সংগঠনের কর্মীদের হাতে নিহত হন। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, গত তিন মাসে পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশে উলফার ১২ জন নেতা কর্মীদের হাতে নিহত হয়েছেন। জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে আলাপকালে পরেশ বড়ুয়া বলেন, ব্যাগে থাকা ফোন ডিরেক্টরি আর সিমগুলো নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো মিয়ানমারে পরেশ বড়ুয়ার আস্থাভাজন কারো কাছে আছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আর বলা হয়েছে, উলফা ও এনএসসিএন (কে) সংগঠন নাকি উন্মুক্তভাবে চীনে যাতায়াত করতে পারছে। তবে চীন সরকার সরাসরি এসব সংগঠনকে কোনো সহায়তা করছে না বলেই মনে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক সমপরিমাণ অস্ত্র আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ অস্ত্র চোরাচালানের মামলার রায়ে পরেশ বড়ুয়া, সাবেক দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশের তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সূত্র: টাইমস্ অব ইণ্ডিয়া