দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুই দশক পূর্বে একটি মোবাইল ফোন শুধুমাত্র প্রাথমিক কিছু কাজ যেমনঃ বার্তা প্রদান আর কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোর রয়েছে বিস্তৃত ধারার কাজ করার ক্ষমতা।
বর্তমানে স্মার্টফোন প্রযুক্তি খুব দ্রুততার সাথে বিবর্তিত হচ্ছে। নিকটবর্তী ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে স্মার্টফোন? স্মার্টফোন প্রযুক্তির দিকে লক্ষ্য রেখে এখানে ভবিষ্যৎ স্মার্টফোনের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল।
১. এ.আর বা উদ্দীপ্ত বাস্তবতা প্রযুক্তিঃ
এ.আর প্রযুক্তি হল কোন একটি বিষয়ের সাথে বাস্তব জীবনের সকল তথ্যকে ব্যবহারকারীর নিকট সুবিধাজনকভাবে মিশ্রিত করা। সহজভাবে মনে করুন আপনি স্মার্টফোনের পর্দায় একটি স্থানকে ধারণ করলেন। ধারণকৃত স্থানটির যেকোনো একটি জায়গা স্পর্শ করলে তা আপনাকে জানিয়ে দিবে সেটি কোন জায়গা এবং সেটি কি? আসলে এ.আর প্রযুক্তি হল জিপিএস ব্যবস্থার সাথে একটি সমন্বয় যা ব্যবহারকারীকে কোন একটি ছবি, ভিডিওর বাস্তব স্বাদ প্রদান করবে। অ্যাপল তার আইফোন ডিভাইসের জন্য এ.আর প্রযুক্তি আনার চিন্তা করছে।
২. নমনীয় পর্দাঃ
শীঘ্রই স্মার্টফোনগুলো বড় পর্দায় চলচ্চিত্র দেখা এবং গেমস খেলার উপযোগী হয়ে উঠবে। কিন্তু তার সাথে স্মার্টফোনগুলোকে অবশ্যই পকেটে বহনযোগ্য হতে হবে, নমনীয় পর্দার ক্ষেত্রেই তা সম্ভব। ও.এল.ই.ডি বা অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড প্রযুক্তির মাধ্যমে নমনীয় পর্দার স্মার্টফোন সম্ভব হতে পারে। কাগজের মতো পাতলা এই পর্দা দিয়ে তৈরি ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলোর দুইদিকেই পর্দা থাকবে। বর্তমানে নোকিয়া নমনীয় পাতলা পর্দার স্মার্টফোন তৈরি করার চেষ্টা করছে।
৩. প্রোজেক্টর পর্দাঃ
আসলে ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলো পরিণত হবে পারস্পরিক ক্রিয়াশীল গেমিং কনসোলে, যা কোন ধরনের টিভি পর্দা ছাড়াই ব্যবহৃত হবে। স্মার্টফোনের সাথে যুক্ত প্রোজেক্টরের মাধ্যমেই এটি সম্ভব। স্যামসাং গ্যালাক্সি বীম প্রথম স্মার্টফোনের সাথে এই ধরনের প্রযুক্তি দেখিয়েছিল যা ডি.এল.পি বা ডিজিটাল লাইট প্রোজেকশন নামে পরিচিত। কিন্তু প্রযুক্তিটি ছিল খুব ছোট পরিসরে, ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলোতে আরো বিস্তৃত আকারে আসবে বলে আশা করা যায়। ফলে ঘরে বসে সিনেমা দেখার স্বাদ উপভোগ করা যাবে।
৪. থ্রিডি পর্দা এবং হলোগ্রামঃ
অ্যাপল রেটিনা ডিসপ্লের কল্যাণে স্মার্টফোনগুলো ইতিমধ্যে পৌছে গিয়েছে স্ক্রীন রেজ্যুলেশনের শিখরে। এটি সত্যিকার অর্থে মানুষের চোখকে প্রদান করে তীক্ষ্ণতর অনুভূতি। বর্তমানে মোবাইল কোম্পানিগুলো টুডি বৈশিষ্ট্যর স্মার্টফোন থেকে থ্রিডি বৈশিষ্ট্যর স্মার্টফোনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাজারে ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে থ্রিডি স্মার্টফোন যেমনঃ এলজি অপ্টিমাস থ্রিডি, স্যামসাং অ্যামলেড থ্রিডি। কিন্তু সামনের দিনগুলোর থ্রিডি কেমন হবে? ভবিষ্যৎ স্মার্টফোনগুলোর থ্রিডি হবে হলোগ্রাফিক থ্রিডি। থ্রিডি হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন মানে হল থ্রিডি ডিসপ্লেতে কোন একটি বস্তুর অখন্ড সমন্বয় যা ব্যবহারকারীকে বাস্তব অনুভূতি দিবে।
৫. হাতঘড়ির মতো স্মার্টফোনঃ
আপনার স্মার্টফোনটি যদি আপনার হাতে হাতঘড়ির মতো থাকে তবে কেমন হবে? মনে হয় না খারাপ লাগবে। ফিলিপস এই রকম একটি স্মার্টফোনের কথা চিন্তা করছে। যা তৈরি করতে ফিলিপস বেছে নিয়েছে ওএলইডি বা অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োডের পাতলা নমনীয় পর্দা।
তথ্যসূত্রঃ Hongkiat