দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৫ বছর অর্থাৎ দুই যুগে পা দিলেও সংস্কারবিহীন হয়ে পড়ে আছে কক্সবাজারের মহেশখালী চ্যালেনের নৌ যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম গোরকঘাটা জেটি। জেটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরা এবং রেলিং ভেঙে যাওয়ায় রিকশা যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ফলে স্থানীয় এবং দেশী-বিদেশী পর্যটক চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
জেটি নিলাম দিয়ে প্রতি বছর মহেশখালী পৌর কর্তৃপক্ষ ৪০-৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও জেটি সংস্কারের ব্যাপারে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন হয়ে পড়ে থাকায় যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধি। জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটার পূর্ব পাশে ১৯৯৮ সালে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার দীর্ঘ জেটিটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১৫ বছরেও এটি একবারও সংস্কার করা হয়নি বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এরই মধ্যে জেটির বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেঙে গেছে জেটির দুই পাশের রেলিং। রেলির ওপর দিয়ে এক সময় যানবাহন চলাচল করলেও ৫ বছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে। জেটির নিচে ও দুই পাশে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ২০০০ সালে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে জেটিটি ১০০ মিটার সম্প্রচারণ করা হয়। কিন্তু তা কোন কাজে আসছে না বলে স্থানীয় লোকজন জানান। বিশেষ করে ভাটার সময় যাত্রীদের জেটি থেকে কাদামাটি ও হাঁটুপানিতে নেমে বোটে উঠতে হয়। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন নারী ও শিশুরা। তবুও যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা এ জেটি দিয়ে পারাপার করে থাকেন। মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া জানান, জেটি সংস্কার করার জন্য ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের পুুঞ্জীভূত সমস্যা থাকার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে অচিরেই তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউসার হোসেন জানান, জেটিটি সংস্কারের জন্য সাবেক পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। আশা করি বর্তমান পৌর কর্তৃপক্ষ তা মাথায় এনে স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসবে।