দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভালো ব্যাট করেও শেষ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করতে হলো ভারতের কাছে। প্রথমার্ধের খেলা দেখে বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শক আশাবাদি হলেও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই শেষ হয়েছে।
গতকাল এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে (বাংলাদেশ-ভারত) ছিল দুই অধিনায়কের লড়াই। মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। জবাবে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি এক সেঞ্চুরি করে জয় ছিনিয়ে নিলেন। কোহলি ও রাহানের দুই ইনিংসে ভর করে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছেন ভারত। এক ওভার বাকি থাকতেই বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ভারত পৌঁছে যায়।
অথচ বিরাট কোহলি এই রানতাণ্ডব শুরু করার আগ পর্যন্ত ম্যাচের সবকিছু বাংলাদেশের অনুকূলেই ছিল বলে মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার সামসুর রহমান শুভকে হারালেও দুই তরুণ এনামুল হক বিজয় ও মুমিনুল একটা স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলকে। মুমিনুলের অসাধারণ কিছু শটে সাজানো ২৯ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যাওয়ার পর শুরু হয় বিজয় ও মুশফিকের পাল্টা আক্রমণ। এক সময় মুশফিক সত্যিই সেঞ্চুরির সুবাদে ১০৪ এ পৌঁছে যান। বাংলাদেশ দল একটি বড় ইনিংস খেলতে সমর্থ হয়।
আর এভাবেই এগিয়ে গিয়ে ভারতকে টার্গেটে ফেলে ২৮০ রানের। প্রথমার্ধের খেলা দেখে বাংলাদেশের দর্শকরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। কারণ তারা ধরেই নিয়েছিলেন অনেক দিন পর আবার বাঙালিরা জয়ের স্বাদ পাবেন। কিন্তু ভারতের খেলা শুরুকে ভালো হলেও পরের অংশে এসে তা গুবলেট হয়ে যায়। ক্রমেই জয়ের আশা স্থিমিত হতে থাকে। ভারতের প্রথম দুটি উইকেট এতো তাড়াতাড়ি যায় যে, বাংলাদেশের দর্শকদের এক হর্ষধ্বনি ও আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে। কিন্তু ওই নিয়তি। নিয়তিই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতকে জিতিয়ে দিলো। আর নিয়তির ফেরে পড়ে বাংলাদেশের সহজ জয় শেষ পর্যন্ত এক কঠিন পরীক্ষায় উপনিত হয় এবং অবশেষে পরাজয় ঘটে।
তবে বাংলাদেশের দর্শকদের ব্যাটিং নৈপূণ্যে যে কারুকার্য দেখিয়েছেন মুশফিকের দল সেটির কথা মনে করেই শান্তনা পেতে চান এদেশের লক্ষ-কোটি দর্শক শ্রোতা।