দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন মানেই সমস্যা আর সমস্যা সমাধানে মানসিক চাপ। জীবনের প্রতি পদে পদে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকি। এই মানসিক চাপ কিন্তু বিভিন্ন ভাবে আমাদের ক্ষতি করে।
প্রতিদিন আমাদেরকে নানান ধরনের সমস্যার কারণে মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অফিসে, বাসায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবখানে মানসিক চাপ। কঠিন মানসিক চাপ আমাদের কি কি ক্ষতি করে, চলুন জেনে নিই…
স্মৃতিশক্তির ক্ষয়ঃ
আপনি কি খেয়াল করেছেন মানসিক চাপে থাকলে অনেক কিছু ভুলে যান? গবেষকদের মতে, মানসিক চাপ চিন্তার প্রখরতা, মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে। মনোযোগ কমে যাওয়ায় আপনি কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন।
শারীরিক অসুস্থতাঃ
মানিসিক চাপে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কেননা ইমিউন সিস্টেম কাজ কম করে। এই সিস্টেমের কারণেই আপনার শরীর বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে বাঁচতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপের সময় এই সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে সর্দি, মাথাব্যথা জ্বরসহ নানান ধরনের অসুখ হয়। আপনার ইমিউন সিস্টেম সবচেয়ে ভাল কাজ করবে যখন আপনি শান্ত এবং স্বচ্ছন্দ থাকবেন।
আকর্ষণ কমে যাবেঃ
মানসিক চাপ আপনার আকর্ষণ কমিয়ে দেবে। ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি ঘটবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিক চিন্তিত ছেলেদের প্রতি মেয়েরা কম আকর্ষণ বোধ করে।
সঙ্গমে কম সুখ পাওয়াঃ
অধিক মানসিক চাপের কারণে পূর্বাপেক্ষা সঙ্গমে সুখ কমে যাবে। যার ফলে এটা বাড়তি চাপ হিসেবে যুক্ত হবে।
বেশি বয়সের ছাপ পড়াঃ
অতিরিক্ত চিন্তা আপনার বয়স বাড়িয়ে দেবে। অর্থাৎ আপনার বয়স স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দেখাবে। মানসিক চাপের কারণে ত্বকের কোষগুলো কম সময়ে বুড়িয়ে যায়। যার ফলে কম বয়সে আপনার ত্বকে বলিরেখা দেখা যাবে।
ক্রীড়াবিষয়ক উন্নতিঃ
যদিও মানসিক চাপ অনেক খারাপ ফলাফল বয়ে আনে তথাপি এর কিছু ভাল দিক আছে। পরিমিত মানসিক চাপ খেলোয়াড়দের চাঙ্গা করে। ফলে তাদের পারফরমেন্স ভালো হয়।
হরমোনের অনিয়মিত প্রবাহঃ
মানসিক চাপের কারণে হরমোনের অনিয়মিত প্রবাহ অনেক ধরনের ক্ষতি সাধন করবে। এস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টেরন নামক হরমোন দ্বয়ের উৎপাদন কমে যায়। যার ফলে শরীরে ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক সমস্যা দেখা যায়।
স্কিন ড্যামেজঃ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ চামড়ার বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী। এর ফলে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া চুলেরও ক্ষতি সাধন করে। চুল রুক্ষ ভাঙ্গা সহ চুল পড়ার জন্য এটি দায়ী।
দীর্ঘকালিন অনিদ্রাঃ
মনসিক চাপের কারণে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিবে। একটি ভাল ঘুম আপনার মানসিক চাপ হ্রাস করার জন্য কর্যকর। কিন্তু অনিদ্রায় সেটি আরো বাড়তে থাকে।
ওজন বৃদ্ধিঃ
মানসিক চাপে থাকলে খাওয়া বেশি হয়। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্থ হয়।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনেক ভাবেই আপনার ক্ষতি করে। তাই যতটা পারেন নিশ্চিন্ত থাকুন। যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ গুলো করুন। সময়ের কাজ সময়ে করুন। আর কিছু কাজ পরিত্যাগ করুন। এটি আপনার জন্য সার্বিক ভাবে ভালো হবে।
সূত্রঃ all-that-is-interesting