ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের সমাধিস্থল নুহাশ পল্লী দেখতে এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকালও সর্বস্তরের মানুষের ভিড় ছিল।
এদের বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা। ঈদের ছুটির সুযোগে সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ ঈদের দিন থেকেই নুহাশ পল্লীতে ছুটে আসেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার হুমায়ূন ভক্ত ও দর্শনার্থী নুহাশ পল্লীতে এসে তাদের প্রিয় লেখকের কবর জিয়ারত ও দোয়া করছেন। আবার কেও কেও পারিবারিক ভাবে নুহাশ পল্লীতে আসছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নুহাশ পল্লীতে আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ভাস্কর্য, ওষুধি গাছের বাগান, খেজুর বাগান, দিঘী নীলাবতি, ভূত বিলাস, বৃষ্টি বিলাস, শাপলা পুকুরের মৎস্য কুমারীসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তারা হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি এসব স্থাপনা দেখে মুগ্ধ। গতকাল নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদল, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম জহিরুল ইসলাম দুলাল, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহা এবং গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ তানজিনা ইসমাইল। তারা হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তারা নুহাশ পল্লীর বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এদিকে নুহাশ পল্লীতে অধিক লোকজনের যাতায়াতের সুযোগে এক শ্রেণীর যানবাহন চালক হোতাপাড়া থেকে নুহাশ পল্লী পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নুহাশ পল্লীতে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করেছেন এমন একজন ভক্তের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, হুমায়ূন আহমেদের অনেক বই তিনি পড়েছেন। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে দাফনের দিন আসতে না পেরে তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। সেজন্য এসেছেন তার প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি এসেছেন টাঙ্গাইল থেকে। এমনিভাবে অনেকেই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে। অনেকেই ফুল নিয়ে এসেছেন। আবার অনেকেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সুরা ফাতেহা পাঠ করেছেন-পড়েছেন দোয় দরূদ শরীফ। যে যেভাবে পারছেন প্রিয় এই নন্দিত লেখকের শেষ ঠিকানায় এসে কবর জিয়ারত করছেন এবং তাঁর অনবদ্য সৃষ্টিরাজি দেখছেন। আবার কেও কেও এগুলো দেখে চোখের অশ্রু সংবরণ করতে পারছেন না।