দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধের কারণে সিরিয়ার শিশুরা রয়েছে এক বিপজ্জনক অবস্থানে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য মানুষের সঙ্গে বাড়ছে শিশুদের সংখ্যাও। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা অবশ্য শিশুদের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
সিরিয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কোনো প্রকার সুরক্ষা, চিকিৎসা সেবা এমনকি মনস্তাত্ত্বিক সহায়তাবিহীন অবস্থায় রয়েছে সিরিয়ার অগণিত শিশু। এমন এক পরিস্থিতিতে সিরিয়া শিশুদের জন্য পরিণত হয়েছে এক ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক স্থানে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সিরিয়া যুদ্ধ ৫৫ লাখ শিশুর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এসব শিশুর অনেকেই অবরুদ্ধ বিভিন্ন নিজ এলাকায় আটকা পড়েছে। এসব শিশু এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের অধিকার সকলের যেমন সমান তেমনি শিশুদের ক্ষেত্রে এই অধিকার আরও অগ্রগণ্য। কিন্তু শিশুরা এখানে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত। পরিস্থিতির আশু পরিবর্তন না হলে শিশুদের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
সিরিয়ার গত ৩ বছরের গৃহযুদ্ধে শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব সংক্রান্ত এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিরিয়ার এইসব শিশুরা ত্রাণ ও খাদ্য সঠিকভাবে পাচ্ছে না। আবার অনেকের নাই তেমন কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩ বছরের যুদ্ধে অন্তত ১০ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। আবার যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েছে অন্তত আরও ১০ লাখ শিশু। শুধু তাই নয়, আরও অসংখ্য শিশু চিকিৎসা সেবা, খাদ্য, শিক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়াও স্নাইপারের গুলিতে অহরহ শিশুরা হতাহত হচ্ছে।
জাতিসংঘ এমনও বলছে, শিশুরা যেসব এলাকায় যুদ্ধের কারণে আটকা পড়েছে, সেসব এলাকা হয়তো অবরুদ্ধ নয়তো সেখানে মানবিক সহায়তা কোনভাবেই পৌঁছানো যাচ্ছে না। এমন এক পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের এই শিশু বিষয়ক সংস্থাকে আরও কার্যকরি ভূমিকা পালনের আহ্বাবন জানিয়েছে।