দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন ব্রিটিশ মহিলা স্টান্ট করার মাধ্যমে কুয়েতের আকাশে ১৫০এমপিএইচ বেগে চলন্ত একটি বাইপ্লেনে এক অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। ব্রিটিশ মহিলাটি চরমভাবে ভীতিকর এই উড়ন্ত অবস্থায় দুঃসাহসিক সব বৈমানিক কসরত দেখিয়েছেন।
প্রদর্শনীর জন্য তারা ব্যবহার করেছেন ১৯৩০ সালের বোয়িং বাইপ্লেন। নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া এই প্রদর্শনীর জন্য ব্রিটিশ মহিলার সাহায্যকারী হিসেবে ছিলেন দুইজন বিমানচালক। তারা এই প্রদর্শনীর পূর্বে রুটিনমাফিক ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও এই প্রদর্শনীর পূর্বে সারাবিশ্বের প্রায় ২৫০০ বৈমানিক কসরতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই বিস্ময়কর প্রদর্শনীর পরিকল্পনা তারা কাকতালীয়ভাবে নিয়েছিলেন। সুইডেনের একটি বিলাসবহুল ঘড়ি কোম্পানী কুয়েতের মারিয়া ক্রিসেন্টে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এটাই প্রথম বৈমানিক কসরতের নৈপুণ্য প্রদর্শনী যা আয়োজিত হল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে। নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীরা প্রদর্শন শেষে ইউরোপে ফিরে গিয়েছেন।
তারা এই অবিশ্বাস্য আয়োজনের জন্য সুইস ঘড়ি কোম্পানী এবং কুয়েত সিটি গভর্ণরের কাছে কৃতজ্ঞ। মার্টিন ক্যারিংটন ব্রাইটলিং স্কাইওয়াকার কোম্পানীর মহাপরিচালক যারা এই প্রদর্শনীর জন্য বোয়িং দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এটি সত্যি উত্তেজনাকর কুয়েতের আকাশে উড়াল দেওয়া এবং সেখানে এমন একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারা”। এই জন্য তিনি ব্রাইটলিং স্কাইওয়াকারের কুয়েত শাখার প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।
অসাধারণ এবং উত্তেজনাকর এই বিমানে খোলা আকাশে শারীরিক নৈপুণ্য দেখানো সম্ভব হতোনা যদিনা বিমানের পাইলট, নিচে থাকা স্টান্ট সহযোগী দল এবং কুয়েতের আকাশের আবহাওয়া সহায়ক হতো।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল