দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ এবং নেপাল। টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। নেপাল তাদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ১২৬ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ১৫.৩ ওভারেই বাংলাদেশ ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়।
দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশ আফগানদের হারিয়েছে বিশাল ব্যবধানে অপর দিকে নেপাল হংকংকে হারিয়েছে ৮০ রানের ব্যবধানে।
দুই দলই জানিয়েছে তারা আজকের ম্যাচে জয়ের জন্যই খেলছে, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকের কণ্ঠে অবশ্য নেপালের জন্য যথেষ্ট সমীহ। তিনি বলেন, “ওরা একটু-একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিন ঘণ্টা যে দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আমরা ম্যাচটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। নেপাল প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে খুব ভালো খেলেছে। গতকাল (রোববার) ওরা হংকংকেও সহজেই হারিয়েছে।”
অপর দিকে নেপালের অধিনায়ক খড়কা বলেন, “গতকাল (হংকংয়ের বিপক্ষে) আমরা নিখুঁত ম্যাচ খেলেছি। তবে এবার আমরা স্বাগতিক এবং টেস্ট খেলুড়ে একটি দেশের বিপক্ষে খেলবো। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। এ ধরনের সুযোগ আমরা সহজে পাই না। তাই আমরা নিজেদের সাধ্যর সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো।”
দুই দলেই আগের ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই মাঠে নেমেছে।
আপডেট
টসে জিতে বাংলাদেশি অধিনায়কের ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়াকে শুরুতেই সঠিক প্রমান করেন ফরহাদ রেজা এবং আল আমিন। চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন ফরহাদ রেজা। ফরহাদ রেজার বলে ৮ করে ফিরেছেন নেপালের ওপেনার সুবাস খাকুরেল। আল আমিনের বলে ফিরেছেন আরেক ওপেনার সাগর পুন (১২)। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আল আমিন ফিরিয়েছেন ১৩ করা জ্ঞানেনন্দ্র মাল্লাকেও।
এর পর চতুর্থ উইকেটে নেপালি দুই ব্যাটসম্যান সরদ বিশ্বকর ও পরশ খাড়কা মিলে গড়েন ৮৫ রানের বিশাল জুটি। এই জুটি ভাঙ্গেন মাশরাফি অসাধারণ এক বলে। নেপাল ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ১২৭ রানের টার্গেট দিয়েছে।। এর আগে নেপালের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ জবাব দিয়েছে। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশি স্পিনাররা বল হাতে মোটেই সফলতা পান নি। ফলে সম্পূর্ণ রুপে অকেজো ছিলো বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ। মূলত মাঠে শিশির থাকাতেই স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেন নি। সে হিসেবে প্রথম কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের সাথে খেলতে নেমে নেপাল ভালোই জবাব দিয়েছে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয় দারুণ সূচনা করেছেন। দুই ব্যাটসম্যান ৭.৪ ওভারে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। তামিম, রেগমির ওভারে সাগর পুন এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হয়ে যান। তামিম তার ৩০ রানের মাঝে দুটি ৪ এবং একটি ৬ এর মার রয়ছে। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় রান আউট হয়ে ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪২ রানে।
পরের গল্প শুধু এক তরফা। সাকিব মাঠে নেমেই সাব্বিরের সাথে দলকে জয়ের লক্ষে নিয়ে যান। সাকিব করেন ৩৭ রান। সাব্বির করেন ২১ রান। বাংলাদেশ জয় পায় ৮ উইকেটের। এই জয় পেতে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে মাত্র ১৫.৩ ওভার! ম্যাচ সেরা হয়েছেন চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট পাওয়া আল আমিন।