দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টোল ফ্রি কল, টোল ফ্রি ভ্রমণ এমন আরও অনেকগুলো শব্দ আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। কিন্তু এবার এই ‘টোল’ কথাটি এমনভাবে আসছে যা মানুষকে বিচলিত করে তুলেছে। কারণ সরকার ঘোষণা করেছে সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি বের করলেই টোল দিতে হবে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশে জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য এখন থেকে টোল দিতে হবে। সরকারি ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ম ৫ টাকা পর্যন্ত এই টোল আদায় করা হবে। তাতে বলা হয়েছে, ছোট-বড় বাস, ট্রাকের পাশাপাশি এমনকি সাইকেল ব্যবহারের জন্যও টোল দিতে হবে। টোলের এই অর্থ সড়ক উন্নয়ন তহবিলে যাবে। এই অর্থ সড়ক কাঠামোর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ‘টোল নীতিমালা ২০১৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নীতিমালাতে বলা হয়েছে, ২০০ থেকে ৫০০ মিটার, ৫০১ থেকে ৭৫০ মিটার, ৭৫১ থেকে এক হাজার মিটার ও এক হাজার মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের জন্য আলাদা টোল নির্ধারণ হয়েছে। যেখানে ফেরি রয়েছে সেখানে স্থায়ী সেতু হলে দৈর্ঘ্য যা-ই হোক না কেনো, অন্ততপক্ষে এক বছরের জন্য তা টোলের আওতায় পড়বে।
সড়কের ক্ষেত্রে ৩ ক্যাটাগরিতে ‘ভিত্তি টোল’ নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা সড়কের ক্ষেত্রে ভিত্তি টোল ধরা হয়েছে- ১০০ টাকা। আঞ্চলিক মহাসড়কের ভিত্তি টোল ধরা হয়েছে- ২০০ টাকা, জাতীয় মহাসড়ক ৩০০ টাকা ও জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে যেগুলোকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করবে সেগুলোতে ভিত্তি টোল ধরা হবে ৪০০ টাকা।
অপরদিকে ভারি ট্রাককে দিতে হবে ভিত্তি টোলের দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৮০০ টাকা। আবার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বড় বাসের টোল হবে ভিত্তি টোলের ৯০ শতাংশ, মিনি ট্রাকের ৭৫ শতাংশ ও মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ধরা হবে। অপরদিকে ১৩ শ্রেণীতে যানবাহনের জন্য পৃথক পৃথক টোল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুসহ দেশের বিভিন্ন সেতু এবং নাটোরের বনপাড়ায় একটি সড়কে টোল নেওয়া হয়।