দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ সোমবার শুরম্ন হয়েছে দেশের ৭৩ উপজেলার নির্বাচন। আজকের নির্বাচন পঞ্চম এবং শেষ উপজেলা নির্বাচন। ৭৪টি উপজেলার নির্বাচন করার কথা থাকলেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে ঠাকুরগাও সদর উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতেই নির্বাচনের খবর সরাসরি সম্প্রচার করতে দেয়নি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়। সেখান থেকে ৭১ টিভি ও এনটিভিকে সরাসরি সম্প্রচারে বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
গতকাল রাতেই ৭১ টিভির খবরে এই অভিযোগ করা হয়। লক্ষ্মীপুর থেকে রাতে ৭১ টিভির পারভেজ রেজা মোবাইলে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন সরাসরি সম্প্রচারে বাঁধা দিয়েছেন। প্রশাসন সরাসরি সম্প্রচারের ক্যাবল খুলে ফেলতে ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেছে, আগামীকাল (আজ) ভোটের সময় তারা সরাসরি সম্প্রচার করতে দেবে। এদিকে পারভেজ রেজা অভিযোগ করে বলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি কেন্দ্রে যে কেন্দ্রে তিনি সরাসরি সম্প্রচার করতে চেয়েছিলেন সে কেন্দ্রে নির্বাচন সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তা ছাড়াও তিনি অনেককেই ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন।’ মিডিয়াদের সম্প্রচারে তেমন কোন বিধি নিষেধ আইনগতভাবে না থাকলেও কেনো বাঁধা দেওয়া হয়েছে তা বোধগম্য নয়।
আজকের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, ১ হাজার ৬৩ প্রার্থী। উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন ১ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৩ জন ভোটার।
এদিকে গত পরশু শনিবার নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থী বিভিন্ন রকম আশংকা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই প্রশাসনকে পড়্গপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন। তাছাড়া গত ৪টি নির্বাচনের মধ্যে ৩য় ও ৪র্থ দফা নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা হওয়ায় ভোটারদের মধ্যেই রয়েছে ভীতি। বেশ কয়েকজন বিএনপি প্রার্থী কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিকারও চেয়েছেন। প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন কিছু কিছু প্রার্থী। এসব অভিযোগকারীরা সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছেন।
তবে আগের নির্বাচনগুলোর মতো এই নির্বাচনেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাঠে রয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এবারওই প্রথম নৌবাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, আগের ৪টি নির্বাচনের মতোই আজকের নির্বাচনেও একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ নির্বাচনের মতোই সশস্ত্র বাহিনীকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩১ ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতাবলে ম্যাজিস্ট্রেট অনুপস্থিত থাকলেও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা অ্যাকশনে যেতে পারবেন।
সকাল ৮টায় শুরম্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যনত্ম বিরতিহীনভাবে।